আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের সদস্য নদী আক্তার ইতি ওরফে জয়া আক্তার জান্নাত ওরফে নূর জাহানসহ গ্রেফতার সাতজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

নদী ছাড়া আরও যাদের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত তারা হলেন- আল আমিন হোসেন (২৮), সাইফুল ইসলাম (২৮), আমিরুল ইসলাম (৩০), পলক মন্ডল (২৬), তরিকুল ইসলাম (২৬) ও বিনাশ শিকদার (৩৩)। সোমবার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। 

মঙ্গলবার (২২ জুন) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার তাদের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধরণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার পুলিশ পরিদর্শক  মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

নদীসহ তাদের চক্রের বাকিদের গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার সকালে তেজগাঁও ডিসি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, পাচারের উদ্দেশে আনা মেয়েদের যশোর সীমান্তে বিভিন্ন বাড়িতে রেখে সুযোগ মতো ভারতে পাচার করত চক্রটি। পাচার করা প্রত্যেক মেয়ের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে এক হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। পাচারকালে কোনো মেয়ে বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতো।

নদীর বিষয়ে ডিসি শহিদুল্লাহ বলেন, ২০০৫ সালে শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজীব হোসেনের সঙ্গে নদীর বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে রাজীব বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। এরপর থেকেই নদী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পাচার করা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নদীর দশটির মতো নাম পাওয়া যায়। নদী ভারত, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ের নারী পাচার চক্রের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন।

টিএইচ/এনএফ