‘সেলিব্রেটি হলেই রাত সাড়ে ১২টায় ক্লাবে যেতে হবে? যে সেলিব্রেটির বাসায় মদের বার থাকে তাকে আবার জোর করে মদ পান করানো লাগে?’ এ ধরনের কোনো ঘটনা ওইদিন ঘটেনি বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত অমি ও ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের আইনজীবী মিজানুর রহমান মামুন।

বুধবার (২৩ জুন) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসানের আদালতে রিমান্ড শুনানির সময় এসব কথা বলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক এ সাধারণ সম্পাদক।

শুনানিতে মিজানুর রহমান মামুন বলেন, ‘সেলিব্রেটি হলেই রাতে সাড়ে ১২টায় ক্লাবে যেতে হবে? যে সেলিব্রেটির বাসায় মদের বার থাকে তাকে আবার জোর করে মদ পান করানো লাগে? এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আর যদি ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়ে থাকে তাহলে আসামিদের ডিএনএ টেস্ট করা হোক। ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। সেটা আমরাও জানতে চাই। এ মামলা মিডিয়া ট্রায়াল হয়ে গেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ধারা ৯ (৪) খ ধারায় ধর্ষণের চেষ্টা যদি হয়ে থাকে ফরেনসিকে পাঠানো হোক। তাই আমাদের দাবি, আসামিদের রিমান্ড বাতিল করে জেলেগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন, সাবেক সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান খান রচিসহ আরও অনেকে।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আবু, আনোয়ারুল কবির বাবুল রিমান্ডের জোর দাবি জানান।

তারা বলেন, এই আসামিরা অভিনেত্রী পরীমণিকে ক্লাবে জোরপূর্বক মদ পান করান ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কেন তারা তাকে জোরপূর্বক মদ্যপান ও ধর্ষণের চেষ্টা করেন? এটার পেছনে কারণ কী? এ ঘটনা উদঘাটন হওয়া প্রয়োজন। না হলে অপরাধ আরও বেড়ে যাবে। এ দেশে শুধু পরীমণি কেন একজন সাধারণ লোকও যদি এ রকম ঘটনার শিকার হয়, তারও বিচার চাওয়ার অধিকার আছে। তাই আসামিদের সর্বোচ্চ ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক। এরপর আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে নাসির ও অমির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

টিএইচ/এসকেডি