ঢাকায় পাকিস্তানি জনপ্রিয় শিল্পী আতিফ আসলামের কনসার্ট বাতিলের পরও টিকিটের টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে ব্যারিস্টার আহসান হাবীব ভূঁইয়া প্রতারণার অভিযোগে মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন 

মামলার বাদী আহসান হাবীব ভূঁইয়া জানান, তদন্ত সংস্থা ডিবিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে আদালত।

মামলার আসামিরা হলেন- আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘মেইন স্টেজ ইনক’ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা কাজী রাফসান, ব্রিতি সাবরিনা খান, চলঘুরি লিমিটেড, চলঘুরি লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আসিফ ইকবাল ও চেয়ারম্যান প্রমি ইসলাম।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান অভিযুক্ত আসিফ ইকবাল খান ও ব্রিতি সাবরিন খান অপর আসামিদের যোগসাজশে কনসার্ট আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ব্যাপক প্রচারণা চালান এবং টিকিট বিক্রি শুরু করেন। চলতি বছরের নভেম্বরের ১৬ তারিখ ১ নং আসামির দ্বারা পরিচালিত ফেসবুক পেজে একটি চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়, উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পি আতিফ আসলাম ঢাকায় লাইভ কনসার্ট করতে আসার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন। প্রথমদিকে অনুষ্ঠান আয়োজনের স্থান প্রকাশ করা না হলেও পরে ওই পেজেই জানানো হয়, অনুষ্ঠানটি পূর্বাচল নিউ টাউনে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। আসামির এমন প্রচারণার ফলে সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায়। এসময় আসামি সাবরিন অপর আসামি আসিফের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তার ‘মারভেল’ নামীয় ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে কথিত কনসার্টের পক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে থাকেন। পরে বিভিন্ন সময় দিয়েও কনসার্ট না হলে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চান। পরে মামলার আসামিরা বিভিন্ন সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে টাকা দেন। পরে আসামিরা কয়েকটি তারিখ দিয়ে এক পর্যায়ে ডিসেম্বরের ১২ তারিখ ফেসবুকে জানান সরকার থেকে কনসার্টের অনুমতি নেই। আগামী নির্বাচনের পর এ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। এরপরে বাদী আসামিদেরকে এ ঘটনায় টাকা ফেরত ও ক্ষমা চাইতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে লিগ্যাল নোটিশ দেন। কিন্তু আসামিরা ক্ষমা না চাওয়ায় বাদী এ মামলাটি করেন।

বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, আসামিরা কনসার্ট বাতিলের পর মামলার অন্যান্য স্বাক্ষীদের ৮৬ হাজার ৬শ বত্রিশ টাকাসহ টিকিট কাটা অনেকের অর্থ প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়। পরে আসামিরা তাদের পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন, যা পরিকল্পিত প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের শামিল। 

এনআর/জেডএস