শতাধিক গুম-খুন
জিয়াউলকে গ্রেপ্তার দেখালো ট্রাইব্যুনাল, অভিযোগ গঠনের শুনানি ৪ জানুয়ারি
শতাধিক গুম-খুনের দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্যানেলের অপর দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর শাইখ মাহদী। তিনি এ মামলায় জিয়াউলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের পাশাপাশি অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানির জন্য সময় চান। পরে তার আবেদন মঞ্জুর করে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে আগামী ৪ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি রেখেছেন।
এদিন সকালে কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে জিয়াউল আহসানকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। যদিও মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় গত ২১ ডিসেম্বর তাকে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু কারাগারে আদেশ না পৌঁছায় হাজির করতে পারেনি কারা অধিদপ্তর। এতে ওই দিন ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি আজ হাজির করতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, ১৭ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনা তিনটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল। ওই দিন শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে ১০০-এর বেশি মানুষকে গুমের পর হত্যার প্রমাণ পেয়েছি আমরা। তিনিসহ তার অনুগতদের কাজই ছিল রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বী মানুষকে গুমের পর বিভিন্নভাবে হত্যা করা। এসব হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিতে নাটক মঞ্চায়ন করতেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা। এসব বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড বা মহানায়কও ছিলেন তিনি।
এছাড়া আরও ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার আবেদন করা হয়। ওই দিন সকালে জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেন প্রসিকিউশন। গুম-খুনই নয়, সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আরও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এমআরআর/এমএন