মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে গৃহকর্মী সুইটির শরীর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, রুটি বানানোর বেলন দিয়ে আঘাত করে দুই হাত, পায়ের  হাঁটু ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়েছে। আঘাত করা স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে গেছে।

রোববার (৪ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসব তথ্য জানান তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন।

নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী সুইটি

এদিকে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় শাহবাগ থানায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় দায়ের করা মামলায় গৃহকর্তা তান‌ভির আহসান ও তার স্ত্রী অ্যাড‌ভো‌কেট না‌হিদকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনে তিনি বলেন, ৯ মাস আগে নির্যাতনের শিকার সুইটিকে কাজের জন্য নিয়ে আসেন ওই দম্পতি। পরবর্তীতে সে কাজ করতে পারে না বলে বিভিন্ন অজুহাতে তাকে মারধর করেন তারা। গত ১ জুলাই রাত ১০টার দিকে সুইটিকে জামা কাপড় খুলে মশা মারার ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়ে তার পেছনে শরীরের নরম মাংস পুড়িয়ে ফেলেন তারা। এছাড়াও রুটি বানানোর বেলন দিয়ে দুই হাত, পায়ের হাঁটুতে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন এ দম্পতি।

অভিযুক্ত গৃহকর্তা তান‌ভির আহসান (ডানে) ও তার স্ত্রী অ্যাড‌ভো‌কেট না‌হিদ

আঘাতে তার শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এরপর সুইটি জীবন বাঁচানোর জন্য পালানোর চেষ্টা করলে তাকে বাথরুমে আটকে রাখেন তারা। ৩ জুলাই রাত ১০টার দিকে সুইটি বাসা থেকে পালিয়ে আরেকজনের বাসায় আশ্রয় নেয়। পরে ওই বাসার গৃহকর্তা ইউসুফ বিষয়টি আশপাশের লোকদের জানালে তারা এ দম্পতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় অবহিত করেন।

টিএইচ/এসকেডি