রাজধানীর গুলশানের চেকপোস্টে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় পুলিশের এএসআই লিটন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার গাড়িচালক তাওহিদুল ইসলাম আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রোববার (১১ জুলাই) আদালতে গুলশান থানা সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ৯ জুলাই ১ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। একই সঙ্গে আসামি তওহিদুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ৪ জুলাই রাতে লিটন মিয়া গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় কালো রঙের একটি প্রাইভেটকার এলে তিনি থামার জন্য সংকেত দেন। তখন গাড়িচালক সজোরে লিটন মিয়াকে ধাক্কা দেন। লিটন মিয়া গাড়ির বনেটের ওপর পড়ে যান। ওই অবস্থায় গুলশান থেকে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার শান্তা টাওয়ারের সামনে লিটনকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান গাড়িচালক। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে লিটনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ওই ঘটনার পর গাড়িচালক তাওহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এদিকে গুলশান থানা সূত্র জানিয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি করে মামলা হয়েছে।

টিএইচ/জেডএস