প্রতারক গিয়াস উদ্দিনের দোষ স্বীকার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার প্রতারক গিয়াস উদ্দিন কবির দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসির আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শনিবার (১৭ জুলাই) আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান পাঁচ দিনের রিমান্ড চলাকালীন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। একই সঙ্গে আসামি গিয়াস উদ্দিন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জবানবন্দি গ্রহণ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১১ জুলাই গিয়াস উদ্দিনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওইদিন ভোরে কুমিল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজমের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কিছুদিন ধরে একটি প্রতারক চক্র বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ ও মোবাইল নম্বর থেকে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া পরিচয়ে, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী, বিভিন্ন জেলা প্রশাসক এবং পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে টাকা দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, চক্রটি কুমিল্লা জেলার অ্যাডভোকেট কামাল হোসেনের কাছ থেকে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় দিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনার তদন্তে নেমে সাইবার পুলিশ জানতে পারে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকরি ও বদলির নামে টাকা নিতেন ওই প্রতারক। সরকারি কর্মকর্তাদের কেউ কেউ এসব ফোন পেয়ে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের ভয় দেখাতেন। এ ঘটনায় পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে।
টিএইচ/এমএইচএস