আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তি করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আটক ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

বুধবার (২৮ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এসকে ইউসুফুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

আইনজীবী ইউসুফুর রহমান শুনানিতে বলেন, তরিকুল এফআইআরভুক্ত আসামি না। সাসপেকক্টেড (সন্দেহ) হিসেবে আসামি করা হয়েছে। তাছাড়া এফআইআরে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কি বক্তব্য সেটি উল্লেখ করা হয়নি। এ মামলার এক নম্বর আসামি মো. রাব্বি। তিনি জামিনে আছেন। তরিকুল পাচঁ মাস ধরে কাস্টডিতে রয়েছেন। এ অবস্থায় জামিন প্রার্থনা করছি।

শুনানি নিয়ে আদালত দেখেন, এ আসামির বিরুদ্ধে আরও সাতটি মামলা রয়েছে। পরে আদালত তার জামিন না দিয়ে আবেদনটি বাতিল করে দেন।

গত বছরের ৫ ডিসেম্বর আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এ মামলায় গ্রেফতার হয় ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ মো. রাব্বী।

ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু ৬ ডিসেম্বর রাতে ঝালকাঠি থানায় রাব্বিসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
 
এ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তরিকুল ইসলামকে চলতি বছরের ৯ এপ্রিল গ্রেফতার করে পুলিশ। নিম্ন আদালতে তার জামিন না হওয়ায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

এমএইচডি/এসএম