রাজধানীর পল্লবী থানায় প্রতারণার ও টেলিযোগাযোগ আইনের পৃথক দুই মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক উপ-কমিটি থেকে সদ্য পদ হারানো হেলেনা জাহাঙ্গীরের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আজ দুপুরে মিরপুর ও পল্লবী থানার পৃথক দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ শাহানুর রহমান ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেক মামলায় চার দিন করে মোট আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

এর আগে ৩১ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইয়ামিন কবির টেলিযোগাযোগ আইনে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। একই দিনে মিরপুর থানার প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। উভয় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিচারক প্রত্যেক মামলায় চার দিন করে মোট আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৩০ জুলাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

২৯ জুলাই রাত ৮টার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডের বাসভবনে অভিযান শুরু করে র‍্যাব। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অভিযান শেষে রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয় এবং পরে র‍্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

৩০ জুলাই দুপুরে এক ক্ষুদে বার্তায় তাকে গ্রেফতারের তথ্য জানায় র‍্যাব। ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্মানহানি করার অপচেষ্টার অভিযোগে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

৩০ জুলাই রাত ১২টার পর হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান শেষে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেছিলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। তার বাসায় বিপুল পরিমাণ মাদকসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র জব্দ করা হয়েছে।

ওইদিন সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়। এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ চারটি ধারায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

টিএইচ/এইচকে