‘আমি মদ খাই না, ইয়াবাও খাই না। আমাকে ভিকটিমাইজড করা হয়েছে। এটি একটি সাজানো নাটক। দয়া করে আমার রিমান্ড নামঞ্জুর করা হোক।’

শুক্রবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সতব্রত সিকদারের আদালতে শুনানির সময় এমন মন্তব্য করেন ইয়াবাসহ গ্রেফতার হওয়া মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন রিমান্ড শুনানিতে বলেন, ‘এই আসামি মাদকের সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি শুধুমাত্র একজন নৃত্যশিল্পী, কোনো মডেলও নন। মিডিয়াই তাকে মডেল বানিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে বাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, সে বাড়িটি আসামির নয়। এটা তার শ্বশুরের বাড়ি। শ্বশুরের চার ছেলে ওই বাড়িতেই থাকেন। এই আসামি তার পরিবার-পরিজন নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করেন। কীভাবে সেখানে মদের আসর বসাবে আসামি? তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় তার রিমান্ড নামঞ্জুর করা হোক।’

অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ বলেন, এ আসামি নিজের বাসায় তরুণ-তরুণীদের নিয়ে মদের আসর জমাতেন। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সতব্রত সিকদার মৌর বিরুদ্ধে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয় মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে। তার বিরুদ্ধে ফের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।

গত সোমবার (২ আগস্ট) ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে মৌকে আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, রোববার (১ আগস্ট) গভীর রাতে নিজ বাসা থেকে মৌকে মাদকসহ আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বিষয়টি জানান ডিবি উত্তরের যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশীদ। আটকের পর মোহাম্মদপুর থানায় মৌয়ের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়।

টিএইচ/এমএইচএস