আদালতে পরীমণি/ফাইল ছবি

পরীমণি তো মার্ডার মামলার আসামি নন। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলারও আসামি নন। যে কোনো শর্তে তাকে জামিন দেওয়া হোক। আদালত প্রয়োজনে তার পাসপোর্ট জমা রেখে জামিনের আদেশ দেবেন।

মাদক মামলায় গ্রেফতার পরীমণির জামিন আবেদনের শুনানিতে এসব কথা বলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মন্ডলের আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

জামিন আবেদনের শুনানিতে আইনজীবী বলেন, পরীমণির বাসা থেকে ১৮ লিটার মদসহ অন্যান্য মাদক পাওয়া গেছে। কিন্তু কে তাকে ডেলিভারি দিয়েছে তা কি এজাহারে লেখা আছে?  

তিনি আরও বলেন, পরীমণির ছয় দিনের রিমান্ড শেষে ফরওয়ার্ডিংয়ে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে রিপোর্ট দেবেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হলে ফাইনাল রিপোর্ট দেবেন।

সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘প্রীতিলতা’র শুটিং আগামী ১৭ আগস্ট থেকে শুরু। সে সিনেমায় পরীমণি কাজ করবেন। দয়া করে তার রিমান্ড মঞ্জুর করা হোক- বলেন আইনজীবী মজিবুর রহমান।  

রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ পরীমণিকে আদালতে হাজির করা হয়। পরীমণির পক্ষে তার জামিনের আবেদন করা হয়, অন্যদিকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কাজী গোলাম মোস্তফা পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।  

শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে পরীমণিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

টিএইচ/আরএইচ