চিত্রনায়িকা পরীমণি প্যানিক অ্যাটাকের রোগী। তিনি পুলিশ কাস্টডিতে থেকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার স্বার্থে তাকে জামিন দেওয়া হোক।

সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমণির জামিন আবেদনে এসব কথা বলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। বিচারক আবেদন বিষয়ে বুধবার (১৮ আগস্ট) শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। 

আইনজীবী মজিবুর রহমান জামিনের আবেদনে বলেছেন, পরীমণি প্রথম সারির চিত্রনায়িকা। ‘ফোর্বস ম্যাগাজিন’ এর ১০০ ডিজিটাল তারকার মধ্যে তার নাম রয়েছে, যা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য গৌরবজনক। তিনি জেলহাজতে আটক থাকলে চলচ্চিত্র অঙ্গনের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গের সম্ভাবনা রয়েছে। ‘প্রীতিলতা’ নামে সরকারি একটি সিনেমার জন্য ফটোশুট হয়েছে, যাতে তিনি কাজ করবেন। কয়েকটি সিনেমার শুটিংয়ের শিডিউল ভেঙে পড়েছে। 

আবেদনে আরও বলা হয়, পরীমণির বিরুদ্ধে সাড়ে ১৮ লিটার মদ ও অন্যান্য মাদক রাখার অভিযোগ করা হয়েছে, যা আসামির দখল থেকে উদ্ধার করা হয়নি।

আইনজীবী আবেদনে বলেন, পরীমণি প্যানিক অ্যাটাকের রোগী। দীর্ঘ সময় পুলিশ কাস্টডিতে থেকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার স্বার্থে আসামি পরীমণিকে জামিন দেওয়া হোক।  ছয় দিন রিমান্ডে রাখার পরও তার কাছ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন হয়নি। পরীমণি একজন স্বনামধন্য নারী। ফলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আসামি জামিন পেতে পারেন। 

আবেদনে আরও বলা হয়, দ্য আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন অর্ডিন্যান্স ১৯৭৯ এর ৬ এবং ৬ এ ধারা লঙ্ঘন করে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। একটি ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাই তিনি জামিন পেতে পারেন।

টিএইচ/আরএইচ