তাসফিয়া হাসান, খাদিজা হোসেন অড়লা, রুবাইয়া হক, ফাবিয়া মাহমুদ নিধা ও ফারহা আজাদ বিনতে ইতু (ডান থেকে বাঁয়ে)

পাঁচ বান্ধবী, যেন একই বৃন্তের পাঁচটি ফুল। সবাই সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। তাদের চোখে-মুখে বড় হওয়ার স্বপ্ন। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে তারা আইনে পড়ছেন। একই প্রতিষ্ঠানে পড়তে গিয়ে তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে বন্ধুত্ব।

এ পাঁচ বান্ধবী ‘বার অ্যাট ল’ ডিগ্রি অর্জন করতে চান। ব্যারিস্টার হয়ে আইন পেশায় অবদান রাখতে চান। দেশ- সমাজকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতে চান। তারা হলেন, খাদিজা হোসেন অড়লা, তাসফিয়া হাসান, ফাবিয়া মাহমুদ নিধা, ফারহা আজাদ বিনতে ইতু ও রুবাইয়া হক।

মনের ভেতরে লালন করা স্বপ্নের কথা, বড় হওয়ার কথা তারা ঢাকা পোস্টের কাছে তুলে ধরেছেন। নিজেকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে একটি ভালো বন্ধুচক্র নির্বাচন করতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছেন। বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক হতেও বলেছেন তারা। প্রিয় পাঠক, চলুন একে একে তাদের গল্প শোনা যাক।

খাদিজা হোসেন অড়লার জন্ম পাবনায়। বাবা প্রয়াত মোবারক হোসেন রত্ন ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ক্রীড়াবিদ। মা সোহানী হোসেন শিল্পপতি ও বিশিষ্ট নারী শিল্প উদ্যোক্তা। পাবনার ক্যাডেট কলেজিয়েট স্কুল থেকে এসএসসি ও ঢাকার ওয়াইডাব্লিউএ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন অড়লা। পরে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজে (সাউথ) ব্রিটিশ ল-তে অনার্স ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইংল্যান্ডে আইন দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন।

আইনে পড়তে আসা নিয়ে অড়লা বলেন, প্রথমে ইচ্ছে ছিল সাংবাদিক হব। এটি নিয়ে আমি বেশ সিরিয়াসও ছিলাম। তবে আমার মা তো ব্যবসায়ী। এ কারণে অনেক ধরনের লিগ্যাল হেল্পের প্রয়োজন হয়। আম্মু মনে করেন, আমি আইন পড়লে ভালো করতে পারব। বলতে পারেন মায়ের ইচ্ছে পূরণের জন্যই আইন পড়া। এখন মনে হয় এ সাবজেক্ট আমার জন্য পারফেক্ট। অনেক ইন্টারেস্টিং লাগে।

দেশ নিয়ে ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুট লেভেলে অনেক মানুষ এখনও অনেক কষ্টে থাকেন। টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা অনেকে করাতে পারেন না। আল্লাহ যদি আমাকে টাকা পয়সা দেন, আমি একটি ফ্রি হাসপাতাল করব। সেখানে গরিব মানুষের চিকিৎসা হবে। কারণ, আমি নিজের বাবাকে দেখেছি তিনি ক্যানসারে মারা গেছেন। এ রোগের ট্রিটমেন্ট করতে তাকে বাইরের দেশে যেতে হয়েছিল। আমি চাই, দেশে এ ধরনের হাসপাতাল থাকুক। যা মানুষকে হেল্প করবে। আরও অনেক ইচ্ছে আছে। ভবিষ্যতে আইন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে রুট লেভেলে গিয়ে মানুষকে সাহায্য করব। গরীব ক্লায়েন্টদের থেকে কখনও টাকা নেব না।

নিজের বিশেষ গুণের কথা বলতে গিয়ে অড়লা বলেন, আমি শ্যুটিং করতাম। পাবনা রাইফেলস ক্লাবে ছিলাম। বেশ কয়েকটি কমপিটিশনে ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড হয়েছি। অনেকগুলো মেডেল পেয়েছি। ফটোগ্রাফি আমার খুব প্রিয় একটি শখ, যা আমার কলিজার মধ্যে গেঁথে আছে। যখন আমি ছবি তুলতে থাকি, আমার আশপাশে কে আছেন তা কখনও দেখি না। ছবি তুলি, ছবি আঁকি। গিটারে মাঝে মাঝে গান করি। ডিবেটও করি। বিভাগীয়, জেলা পর্যায়ে আর্ট কমপিটিশনে আমি মাঝে মধ্যে ফার্স্ট, সেকেন্ড ও থার্ড হয়েছি। শ্যুটিং কমপিটিশনে মেডেল পেয়েছি। ফটোগ্রাফিতেও পুরস্কার পেয়েছি।

বন্ধু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এ জেনারেশনের অনেকেই সিগারেট খাওয়া এবং বিভিন্ন ধরনের নেশাকে স্মার্ট ব্যাপার মনে করেন। আসলে তা নয়। খারাপ সার্কেলের কারণে অনেকেই নেশায় জড়িয়ে যান। আমি মনে করি বন্ধু ও বন্ধু সার্কেল নির্বাচনে সতর্ক হওয়া উচিত। আমরা অনেক ভাগ্যবান। এমন একটি ভালো সার্কেল পেয়েছি।

তাসফিয়া হাসান। বাবা বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাসফিয়া রাজধানীর সাউথ ব্রিজ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল থেকে ও এবং এ লেভেল পাস করেন। তারপর লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজ (সাউথ) এলসিএলসে এলএলবি অনার্সে ভর্তি হন। সেখানেই আইন দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন তাসফিয়া। এলএলবি অনার্স শেষে ব্যারিস্টারি পড়ার ইচ্ছে রয়েছে তার।

তাসফিয়া বলেন, বাবা ব্যারিস্টার। তিনি এখন বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আমার দাদাভাইও চট্টগ্রাম বারের আইনজীবী ছিলেন। ফ্যামিলি থেকেই আইন পড়তে অনুপ্রাণিত হই। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন কোর্টে যাব, বিচারকদের সামনে সাবমিশন রাখব। বাবার কাছে নানা গল্প শুনেই আইন পড়ার আগ্রহটা জন্মে।

দেশ নিয়ে ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, আইন পেশায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে নারী অধিকার ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করব। আমার বাবা ইউনিসেফের চাইল্ড রাইটস নিয়ে কাজ করেন। আমিও ওই লাইনে যেতে চাই। চাইল্ড রাইটস নিয়ে গ্লোবালি কাজ করতে চাই। আমি চাই প্রত্যেক শিশুর স্বপ্ন দেখার অধিকার থাকুক। সব শিশুর অধিকার নিশ্চিতে কাজ করতে চাই। আমাদের ছোট ছোট অবদানে যেন বাংলাদেশ একদিন ডেভেলপড কান্ট্রি হয়ে যায় সেটাই স্বপ্ন।

নিজের বিশেষ গুণ বিষয়ে তাসফিয়া বলেন, আমি অনেক বই পড়ি। বই পড়া আমার শখ। বই পড়তে পড়তে লেখালেখিরও শখ জন্মেছে। অল্প বয়স থেকেই স্কুল ম্যাগাজিনে আর্টিকেল লিখতাম। স্কুলে থাকতে বাস্কেটবল খেলতাম। এলসিএলএস থেকে আমরা ইন্টার‌ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ল’ চাইল্ড রাইটস কমপিটিশনে গিয়েছিলাম ভারতের হায়দরাবাদে। সেখানে আমাদের টিম ভালো পারফরমেন্স করেছিল। এটিও সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা ছিল।

বন্ধু নির্বাচন নিয়ে তাসফিয়া বলেন, আমি মনে করি, ভালো ফ্রেন্ড সার্কেল নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ফ্রেন্ড সার্কেল সত্যিই খুব ভালো। আমাদের সার্কেলের মধ্যে কোনো ঝগড়া হয় না। সমস্যা হয় না। আমাদের বন্ধন বেশ জোরালো। আমাদের কেউ সমস্যায় পড়লে আমরা একজন আরেকজনকে অ্যাডভাইস করি। এ সার্কেলকে আমাদের জন্য আশীর্বাদ বলব।

ফাবিয়া মাহমুদ নিধা, গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর। বাবা তারিক মাহমুদ সংসদ সচিবালয়ের উপ-সচিব। মা ফারজানা বারী মতিঝিল আইডিয়াল কলেজের গণিতের প্রভাষক। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচসি পাস করেন নিধা। তারপর ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের অধীনে লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজে (সাউথ) এলএলবি অনার্সে ভর্তি হন। এখন তিনি এলএলবি অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন।

তিনি বলেন, সত্যি বলতে আমাকে আইনজীবী বানানোর ইচ্ছেটা পুরোপুরি বাবার। আমি যখন ছোট, তখন থেকে বাবার ইচ্ছে ছিল আমাকে ব্যারিস্টার বানাবেন। পরে আমার কাছেও মনে হয়ে এ লাইনটা আমার জন্য পারফেক্ট। স্কুল জীবনে আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া, আমি হেড গার্ল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলাম। তখন থেকে আমার শিক্ষক ও আমার আশপাশের সবাই বলতেন তোমার মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণ আছে।

দেশ নিয়ে ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে নিধা বলেন, আমার ভবিষ্যতে ক্রিমিনাল ল ইয়ার হওয়ার ইচ্ছে আছে।    মানুষের জন্য বেটার জাস্টিস নিশ্চিত করার চেষ্টা করব ভবিষ্যতে। আর রাজনীতি তো করবই। কারণ আইন পেশার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক অত্যন্ত নিবির। স্বপ্ন দেখি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাই।

নিজের বিশেষ গুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে নাচ শিখতাম হিন্দোল সংগীত একাডেমিতে। নাচে পুরস্কার পেয়েছি। এখনও কোনো প্রোগ্রামে সুযোগ পেলে নাচি। শখ করে গান গাই। ছবি তুলি, ছবি আঁকি। মাঝে মাঝে লেখালেখি করি। লেখালেখির বিষয়ে অনুপ্রেরণা দেন বাবা।

বন্ধু নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, একটি কথা আছে ‘সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে’। ফ্রেন্ড সার্কেলের অবশ্যই ম্যাটার করে। কেউ একটি খারাপ সার্কেলে পড়লে খারাপ হয়। আবার ভালো ফ্রেন্ড সার্কেল একজন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করে।

নোয়াখালীর মেয়ে ফারহা বিনতে আজাদ ইতু। বাবা হারুনুর রশিদ নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র, ব্যবসায়ী। ইতু রাজধানীর স্কলারস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড থেকে এইচএসসি পাস করেন। ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ব্রিটিশ ল-তে এলএলবি অনার্স কোর্সে ভর্তি হন লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজে (সাউথ)। সেখানেই আইন দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন এখন।

কেন আইন পড়তে এলেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ফ্যামিলিতে ল’ ব্যাকগ্রাউন্ডের কেউ নেই। আমাদের রাজনৈতিক পরিবার। ছোটবেলায় আমি যখন বুঝতামই না ব্যারিস্টার কী, তখন থেকে আমার বাবা বলতেন আমার এ মেয়েকে ব্যারিস্টার বানাব। তখন থেকে মাথায় ঢুকে যায়, আমার ব্যারিস্টার হতে হবে। সেই স্বপ্ন পূরণে আইন পড়তে এসেছি। আমারও ইচ্ছা, যেন বাবার স্বপ্নটা পূরণ করতে পারি।

দেশ নিয়ে ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ইতু বলেন, স্বপ্ন আছে ব্যারিস্টার হওয়ার পর মানুষের কল্যাণে কাজ করব। যতটুকু পারব আমার জায়গা থেকে মানুষকে সাহায্য করব। আমার দেশে যেন সবাই ভালোভাবে থাকতে পারেন। রাস্তাঘাটে বের হলে অনেক অসহায় মানুষকে দেখলে আসলে খারাপ লাগে। এদের জন্য কিছু করার ইচ্ছে আছে।

বিশেষ গুণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইতু বলেন, স্কুল লেভেলে স্পোর্টসে সবসময় অংশ নিয়েছি। ব্যাডমিন্টন খেলেছি। খেলাধুলা সবসময় এনজয় করি। আমি গান করি না। তবে আমি ড্যান্স করতে পারি। ড্যান্স করে আমি আনন্দ পাই। এছাড়া গ্রামে ঘুরতে পছন্দ করি।

জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালিত করতে ভালো বন্ধু থাকার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো সমস্যায় পড়লে ফ্রেন্ড সার্কেলকে জানাই। আমাদের সার্কেলটা খুবই ভালো। পড়ালেখাকে মজা করে নিয়েছি। একসঙ্গে পড়ার মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাই। সব কিছু নিজেদের মধ্যে শেয়ার করি। তখন কঠিন বিষয়গুলোও সহজ হয়ে যায়। আসলে ভালো বন্ধু থাকাকে আশীর্বাদ মনে করি।

নওগাঁর মেয়ে রুবাইয়া হক। বাবা জাহিদুল হক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। মা মারিয়া সুলতানা একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষক। মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি সেকেন্ডারি হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ব্যারিস্টার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ভর্তি হন লন্ডন কলেজ অব লিগ্যাল স্টাডিজে (সাউথ)। সেখানেই তিনি আইন দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন।

কেন আইন পড়তে এলেন, জানতে চাইলে রুবাইয়া বলেন, ছোটবেলা থেকে বাবা–চাচাকে ল ইয়ার হিসেবে পেয়েছি। আশপাশে এত ল ইয়ার দেখে এক সময় মনে হতো আমি অন্য কিছু হব। তবে বাবার ইচ্ছে ছিল ভাই-বোন দুজনকেই ল ইয়ার বানাবেন। ভাইয়া ব্যারিস্টারি পড়া শেষ করে এসেছেন। আমি স্কুল থেকেই ডিবেট করে আসছি। পরিবারের সবাই বলতেন, আমি আইন পেশায় গেলে ভালো করব। আইন পড়ার পেছনে পরিবারের অনুপ্রেরণা বেশি কাজ করেছে।

দেশ নিয়ে ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, পথশিশু এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। এছাড়া আইন পেশার মাধ্যমে মানুষের উপকার করার চেষ্টা থাকবে।

রুবাইয়া বলেন, ছোটবেলা থেকে স্কুলে বিতর্ক করতাম। আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সব সময় অংশ নিতাম। এলসিএলএসে ‍মুট কমপিটিশনে ইতুর আর আমার একটা টিম ছিল। আমরা রানার আপ হয়েছিলাম। এটি আমাদের একটি অ্যাচিভমেন্ট।

নিজেকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে ভালো বন্ধু থাকার গুরুত্ব নিয়ে রুবাইয়া বলেন, আমাদের বয়সের ছেলে-মেয়েরা তো পরিবারের কাছে সব কথা শেয়ার করতে পারে না। তখন সার্কেলের কাছেই শেয়ার করে। তাই সার্কেলটা ভালো হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। আমাদের সার্কেলের বন্ডিং অনেক ভালো। যেকোনো সমস্যায় পড়লে ফ্রেন্ড সার্কেলকে জানাই। সুন্দর সমাধান বের হয়ে আসে।
 
এমএইচডি/আরএইচ/এমএইচএস