যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া

জাল টাকার মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে এ মামলায় পাপিয়ার বিচার শুরু হলো।

রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র ঢাকা পোস্ট পেয়ে তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নজমুল হক চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়িবা নূর। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, চার্জশিটে ২০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। 

চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে বহন ও বিপুল পরিমাণ অপরাধলব্ধ অর্থ দেশের বাইরে পাচার করার উদ্যোগ নেন। ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মামলায় ২০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। 

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলংকান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

টিএইচ/আরএইচ