মগবাজারের নয়াটোলায় শিশু জুয়েল এবং বিপ্লবকে হত্যার দায়ে দুই আসামি লিটন ও রঞ্জু সরকারকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুইবছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও আসামিদের অবিলম্বে কনডেম সেল থেকে সরিয়ে নরমাল সেলে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দিয়েছেন। আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল হাই। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজধানীর মগবাজার এলাকার নয়াটোলার বাসা থেকে জুয়েল (১০) ও বিপ্লব (৭) নামে দুই শিশু ২০০৮ সালের ২৯ এপ্রিল বের হয়ে আর তারা বাসায় ফেরেনি। পরে ১ মে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘর থেকে শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর সেদিনই জুয়েলের বাবা আলাল উদ্দিন রমনা থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি হিসেবে কারও নাম বলা হয়নি। এ মামলায় রঞ্জু সরকারকে ওই বছরের ২৭ জুন এবং এর দুদিন পর ২৯ জুন লিটন ওরফে কসাই লিটনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর ওই বছরের ২৭ জুলাই রঞ্জু সরকার ও লিটনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। 

এ মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ বিচার শেষে লিটন ও রঞ্জু সরকারকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এরপর মৃত্যুদণ্ডের অনুমতির জন্য নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করে। উভয় আবেদনের ওপর শুনানির পর ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে তাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে আসামিরা।  

এমএইচডি/এসএম