যে তিনটি বই নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে তার মধ্যে একটি ‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’

সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের জন্য কেনা বইগুলোর মধ্যে তিনটি বই নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুল কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  

তবে রিটকারী চাইলে রুলটি নতুন কোনো বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করতে পারবেন। আজ (বুধবার) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালত বলেছেন, দীর্ঘদিন কোভিডের কারণে রায় ঘোষণা করা যায়নি। এ কারণে মামলাটি রায় ঘোষণা থেকে প্রত্যাহার করে পুনরায় রুল শুনানির জন্য রাখা হলো। পিটিশনার এখতিয়ার সম্পন্ন যেকোনো বেঞ্চে রুল শুনানির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, আমরা হাইকোর্টের নতুন একটি বেঞ্চে রুলটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করবো।

‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারের জন্য আটটি বই কেনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।     কিন্তু বইগুলোর মধ্যে তিনটি বই নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে বইগুলো প্রকাশনার সাথে জড়িত দুটি প্রকাশনা সংস্থার বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবকে প্রধান করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হককে এ তদন্ত করতে বলা হয়। একইসঙ্গে জালিয়াতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারি করেন আদালত। পরে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।

‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ এবং ‘৩০৫৩ দিন’ বই দুটির পাশাপাশি অধ্যাপক নাসরিন আহমদ সম্পাদিত ‘অমর শেখ রাসেল’ বইটিরও মেধাস্বত্ব চুরি করে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ‘জার্নি মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড’ ও ‘স্বাধীকা পাবলিশার্স’ নামে দুটি প্রকাশনা সংস্থার মালিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে।

এমএইচডি/এনএফ