বিএনপি কর্মী পরিচয়ে আওয়ামী লীগ নেতার জামিন ‘ফৌজদারি অপরাধ’
সোনা চোরাচালানের মামলায় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম অভিনব এক পন্থায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। নিজেকে বিএনপি কর্মী পরিচয়ে মামলাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানিমূলক দেখিয়ে এ জামিন নেন তিনি।
এভাবে প্রতারণা করে জামিন নেওয়ার ঘটনাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে তার এ জালিয়াতির বিষয়টি উঠে আসে। জানা যায়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে বিমানবন্দর থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের একটি মামলা হয়। মামলায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ বি এর ১ ধারা সংযুক্ত করা হয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামি ইমরান, সাইফুল, পিকুল, শামীম, হাবিব, মেহেদী ও শেখ রনির নাম বলেন; যারা একই পরিবারের সদস্য।
২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল অভিযুক্তরা আগাম জামিন নেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে। যেখানে উল্লেখ করেন, তারা বিএনপি নেতাকর্মী। তাদের রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য এ মামলা করা হয়েছে। নিজেদের উচ্চ শিক্ষিতও দাবি করেন জামিন আবেদনে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া জামিন আবেদনে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিও গোপন করা হয়। জামিন পেয়ে দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন আসামিরা। এর এক বছর ৭ মাস পর গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে এবার করোনার অজুহাতে জামিন নেন তারা। সিএমএম কোর্টের জামিন আবেদনে গরিব দিন মজুর হিসেবে মিথ্যা তথ্য দেন ওই ৫ আসামি। সম্প্রতি এ ঘটনা প্রকাশ হয়।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ নেতার বিএনপি কর্মী পরিচয়ে এমন জামিন জালিয়াতির ঘটনার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি প্রথমে হতবাক হয়ে যান। এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, এটা ফৌজাদারি অপরাধ। এদের জামিন বাতিলের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এমএইচডি/এনএফ