ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষের হয়ে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. মনিরুজ্জামান আসাদ ও আইনজীবী জে আর খান রবিন। রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ আবু।

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার মামলা করা হয়েছে, তবে এ অভিযোগগুলো ঠিক নয়। কারণ প্রতিষ্ঠানটি কোনো গ্রাহকের টাকা নিয়ে চলে যায়নি। ইভ্যালি বলেছে তারা টাকা দিয়ে দেবে। তবে কিছু সময় লাগবে।

তারা বলেন, ইভ্যালি গ্রাহকের কাছ থেকে পণ্যের টাকা নিয়ে তা সাপ্লাইয়ারকে দেয়। সাপ্লাইয়ার পণ্য দিলে ইভ্যালি গ্রাহককে সেই পণ্য বুঝিয়ে দেয়। বর্তমান মহামারির কারণে সারা বিশ্বের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাপ্লাইয়ার সময়মতো মালামাল দিতে পারেনি বলে ডেলিভারিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। ইভ্যালি অনেককে পণ্যের টাকা ফেরত দিয়েছে, অনেকের কাছ থেকে আবার সময় চেয়ে নিয়েছে। তবে টাকা দেবে না এমনটি কখনো ইভ্যালি বলেনি। 

তারা আরও বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইভ্যালিকে গত ১৯ আগস্ট কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়। ২৬ আগস্ট সেই চিঠির জবাব দেওয়া হয়। গ্রাহকের টাকা ফেরতের বিষয়ে ৬ মাস সময় চাওয়া হয়। ইভ্যালির উদ্দেশ্য যদি প্রতারণা হতো, তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাব তখনই দিত না। 

শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ২০২১ এর জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত ইভ্যালি মোট তিন লাখ গ্রাহককে পণ্য ডেলিভারি করেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশের ৭০ লাখ গ্রাহককে পণ্য দিয়েছে। ইভ্যালি যাদের পণ্য দিতে পারেনি, তাদের টাকা ফেরত দিতে কাজ করছে। তাই আমরা চাই তাদের জামিন দেওয়া হোক।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিকেলেই রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। 

এমএসি/এআর/আরএইচ/জেএস