আদালতে নির্বাক ছিলেন ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল। আদালতে উঠার পর থেকেই কারো সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি তাকে।

রিমান্ডের নির্দেশনা দেওয়ার পর যখন রাসেলকে গাড়িতে নেওয়া হচ্ছিল তখন সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেছিলেন তাকে। একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আপনার সাথে কি ইনজাস্টিস (অবিচার) হচ্ছে ?’ একই প্রশ্ন ৪-৫ বার করার পরেও উত্তর দেননি রাসেল।

এর আগে রাসেল ও তার স্ত্রীকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২২ নম্বর রুমের কাঠগড়ায় তোলা হয়। কাঠগড়ায় রাসেলের সাথে অন্য মামলার পুরুষ আসামি রাখার কারণে তার স্ত্রীকে নামিয়ে বেঞ্চে বসানো হয়।

আদালতে শুরু থেকেই নীরব ছিলেন রাসেল। তার পরিবারের সদস্যরা আদালত কক্ষে থাকলেও কারও সাথে কথা বলেননি তিনি। প্রথমে হ্যান্ডলাফ পরিয়ে আনা হয় রাসেলকে। পরবর্তীতে তার এক হাতের হ্যান্ডকাফ খুলে দেওয়া হয়। আইনজীবীরা কোর্টের কয়েকটি দলিলে তার স্বাক্ষর নেন।

এদিকে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বিকেলেই রাসেলকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

এআর/এমএসি/এসকেডি