পণ্য না পেয়ে বাদী বা বিনিয়োগকারীরা ইভ্যালির অফিসে গিয়ে পাওনা টাকা চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা ও খারাপ আচরণ করা হয়। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেন আসামিরা। বাদীকে ই-মেইলে এবং ফোনের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ভয় দেখান তারা।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হুদা। রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা এসব কথা বলেন।

আবেদনে তিনি আরও বলেন, বাদীর পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য আসামিদের চিঠি দেওয়ার পরও তারা বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তারা ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহের কথা থাকলেও তা করেননি। পরে পাওনা টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। টাকা পরিশোধের জন্য আসামিদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলেও তারা কর্ণপাত করেননি।

এই কর্মকর্তা বলেন, পণ্য না দেওয়ায় তাদের অফিসে গিয়ে পাওনা টাকা চাইলে বিভিন্ন তালবাহানাসহ বাদীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই মামলার সব আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পণ্যে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ না করে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেন।

তিন দিনের রিমান্ড শেষ ইভ্যালির মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে আজ দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের আদালতের হাজত খানায় রাখা হয়েছে।

আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

টিএইচ/এমএইচএস