ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) অত্যন্ত সুচতুর, ধুরন্ধর ও কৌশলী। তারা জামিনে মুক্তি পেলে আবারও প্রতারণাসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পরবেন। এতে মামলার তদন্তে বিঘ্ন ঘটানোর আশংকা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয় রাসেল দম্পতিকে। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন।

প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলেছেন। তারা গুরুতর প্রশ্নের উত্তর কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। তবে আসামিরা রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও দিয়েছে, যা তদন্তের স্বার্থে যাচাই-বাছাই চলছে। মামলার তদন্তের স্বার্থে পুনরায় রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।

এদিকে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হুদা।

রিমান্ড আবেদনে এই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, পণ্য না দেওয়ায় তাদের অফিসে গিয়ে পাওনা টাকা চাইলে বিভিন্ন তালবাহানাসহ বাদীর সঙ্গে খারাপ আচরণ ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই মামলার সব আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পণ্যে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ না করে প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেন।

টিএইচ/এমএইচএস