ইভানার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধন

রাজধানীর স্কলাস্টিকা স্কুলের ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিলর ইভানা লায়লা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান রুম্মানসহ অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তার সহপাঠী, সহকর্মী ও আইনজীবীরা। 

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইভানার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।

ইভানার সহপাঠী, সহকর্মী ও শিক্ষকরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন। বিপুল সংখ্যক আইনজীবীও অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদও অংশ নেন।

বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক, আইনজীবী সমিতির সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার সাফায়েত সুলতানা রুমি, সাবেক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ ফারুক, ব্যারিস্টার মুনতাসির আহমেদ, অ্যাডভোকেট জেসমিন সুলতানা, ব্যারিস্টার আসিফ বিন আনোয়ার, ব্যারিস্টার সিফাত মাহমুদ, ব্যারিস্টার আহমেদ নকিব করিম, অ্যাডভোকেট মাসরুফা হোসাইন, ব্যারিস্টার জাকিউল হক, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর আরিফ নূর, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক পারিসা শাকুর, স্কলাস্টিকা স্কুলের তৌহিদ সোহরাব, কসমো স্কুলের তামান্না ফেরদৌস। উপস্থিত ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফারজানা শম্পা, ব্যারিস্টার উপমা বিশ্বাস, ব্যারিস্টার মায়িশা ধূসরিমা, জেসমিন-এ লাকি প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, স্বামী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ মাহমুদ হাসান রুম্মানসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই ইভানার মৃত্যুর মূল রহস্য বের হয়ে আসবে।

তারা আরও বলেন, ইভানার মৃত্যুর ঘটনার পেছনে কারা জড়িত সেটি সামনে আসুক। সেটাই আমরা চাই। এভাবে যেন আর কোনো ইভানাকে মৃত্যুবরণ করতে না হয় সেজন্য তার মৃত্যুতে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক। ইভানাকে কেন এভাবে জীবন দিতে হলো, কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন- আমরা এ প্রশ্নের জবাব চাই। 

মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন চিত্রনায়ক সিয়াম

চিত্রনায়ক সিয়াম বলেন, আমরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়েতো পৃথিবীতে আসিনি। আল্লাহ আমাদের প্রেরণ করেছেন বলেই এসেছি। এই জীবনটা কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। জীবনে অনেক ছোট-বড় ঘটনা ঘটে। আমার মনে হয় আমরা যদি শেয়ার করতে পারি আমাদের বন্ধুদের সাথে, টিচারদের সাথে (তাহলে অনেক কিছুরই সমাধান হয়)। নিজের লাইফটা কেড়ে নেওয়া কোনো সমাধান  না। সমাধানের জন্য সমস্যার কথা শেয়ার করতে হয়। সন্তান ডিপ্রেশনে ভুগলে প্রত্যেক বাবা-মায়ের উচিত তাদের সাথে কথা বলা। আর যেন কোনো ইভানার এভাবে মুত্যু না হয়।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পরীবাগ থেকে স্কলাস্টিকা স্কুলের ক্যারিয়ার গাইডেন্স কাউন্সিলর ইভানা লায়লা চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দুটি ভবনের মাঝখানে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

ইভানা লায়লা চৌধুরী (৩২) স্কলাস্টিকা স্কুলের উত্তরা ও মিরপুর শাখার ইউনিভার্সিটি প্লেসমেন্ট সার্ভিসের প্রধান ছিলেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাসানসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মামলাটি দায়ের করেছে ইভানার পরিবার। ইভানার বাবা আমান উল্লাহ চৌধুরী শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৪১। মামলার অপর আসামি ইমপালস হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মুজিবুল হক মোল্লা।

এমএইচডি/এইচকে