জাতীয় শোক দিবসে একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি করার বিষয়ে রিটকারীর অভিযোগ ও এ বিষয়ে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ ও রেজিস্ট্রার মো. সিদ্দিকুর রহমানের লিখিত ব্যাখ্যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে মাদরাসা বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির।

এর আগে সকালে জাতীয় শোক দিবসে একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি করার বিষয়ে ভুল স্বীকার করে হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ ও রেজিস্ট্রার মো. সিদ্দিকুর রহমান। তারা লিখিত আবেদনে বলেছেন, আমরা সতর্ক থাকব, ভবিষ্যতে আর এ ধরনের ভুল হবে না।

এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রারকে তলব করেন হাইকোর্ট। জাতীয় শোক দিবসে সরকারি ছুটির দিনে একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাডহক কমিটি করে প্রজ্ঞাপন জারি করার বিষয়ে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এছাড়া জাতীয় শোক দিবসের দিনে অ্যাডহক কমিটি করে জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত করেন আদালত।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। সে সময় আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল শালিখা দাখিল মাদরাসার সভাপতি মনোনয়নসহ চার সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। গত ১৫ আগস্ট মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের পক্ষে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষরে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।  

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ওই মাদরাসার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ওমর ফারুক প্রজ্ঞাপন জারির প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানিতে আদালত প্রশ্ন তোলেন, শোক দিবসে কীভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করলেন। শুনানি শেষে আদালত মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও রেজিস্ট্রারকে তলব করেন।

এমএইচডি/জেডএস