গরমে-শীতে পৃথক ড্রেস কোড চান আইনজীবীরা
আইনজীবীদের গরম ও শীতকালে পৃথক ড্রেস কোডের জন্য আপিল বিভাগে প্রস্তাব করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তবে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ড্রেস কোড পরিবর্তন করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে, রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত যেতে হবে। তাছাড়া আমাদের একার ড্রেস কোড পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
রোববার (৩১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ কার্যক্রম শুরু করলে আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বাংলাদেশর আবহাওয়া এবং সব কিছু মিলিয়ে আইনজীবীদের জন্য একটি গ্রীষ্মকালীন এবং একটি শীতকালীন ড্রেস নির্ধারণ করার উদ্যোগ যদি আপনারা নিতেন। এটি বিবেচনার জন্য আপনাদের কাছে আমাদের আবেদন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আমরা কালো কোট পরি, বিদেশেও কিন্তু কালো কোট পরে না। লন্ডনে পরে ডার্ক (ধূসর), কালো নয়। অনেক জায়গায় দেখেছি ব্লু পরতে। আমি সেখানে তাদের জিজ্ঞেস করেছি তারা বলেছে কালো নয়, তাদেরটা ধূসর। আর আমরা মানুষ কালো, পরি কালো কোট, দেখা যায় আরও কালো।
বিজ্ঞাপন
আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আমরা যারা সুপ্রিমকোর্টে প্র্যাকটিস করি এয়ার কন্ডিশন থাকায় আমাদের হয়তো তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু সারাদেশের আদালতগুলাতে যারা প্র্যাকটিস করেন তাদের অনেক কষ্ট হয়। এই ড্রেসটা শীতের জন্য ঠিক আছে। আমরা সাদা শার্ট পরে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এটা আসলে অতটা খারাপ লাগে না। বরং এই ড্রেসটা থাকলে বিভিন্ন আদালতে টাউট-বাটপার শনাক্ত করতে সুবিধা হয়।
তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা শুধু আমার একার না। আইন সংশোধন করতে হবে। আইনজীবী বলেন, আপনি একটা সার্কুলার দিয়ে এটা সংশোধনী করতে পারেন।
এসময় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, শীতকালে এক ড্রেস এবং গরমে আরেক ড্রেস এটা কোনো দেশে আছে কিনা?
তখন আইনজীবী বলেন, আছে, মাই লর্ড আছে। অনেক দেশেই আছে। কোথায় কোথায় আছে আমি তার তালিকা দেব। পরে আদালত বলেন, আপনি এ বিষয়ে একটা আবেদন দেন। পরে আদালত তালিকায় থাকা মামলার শুনানি শুরু করতে বলেন।
করোনার কারনে দীর্ঘ দিন সাদা পোশাক পরে শুনানির পর ফের কালো কোট ও গাউন পরার বাধ্যবাধকতা চালু করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
গত ২৮ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সাদা পোশাক পরে দীর্ঘদিন প্র্যাকটিসের পর আজ থেকে কাল কোট-গাউন পরে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবীরা।
এমএইচডি/এসএম