পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা চার মামলায় ঠিকাদার আমিনুল ইসলামকে জামিন দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। 

আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোতাহার হোসেন সাজু। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় সহকারী ঠিকাদার মো. আমিনুল ইসলামসহ ১৩ প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে কারাগারে পাঠান নিম্ন আদালত।

অন্যরা হলেন- রূপপুর প্রকল্পের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল, পাবনা গণপূর্ত উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন কুমার নন্দী, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, মো. জাহিদুল কবির, মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. রওশন আলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ তাহাজ্জুদ হোসেন, আহমেদ সাজ্জাদ খান, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক খান ও মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আসিফ হোসেন।

দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্পের আসবাবসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজে ‘অস্বাভাবিক’ ব্যয়ের অভিযোগ ওঠার পর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়। ওই ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটিও করা হয়। সেখানে একটি বালিশের পেছনে ৬ হাজার ৭১৭ টাকা ব্যয় দেখানোর খবর গণমাধ্যমে আসায় এটা ‘বালিশ দুর্নীতি’ বা ‘বালিশকাণ্ড’ হিসেবে পরিচয় পেয়েছে।

এমএইচডি/এইচকে