বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটনের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ল’ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (রুলা)।

সোমবার (৮ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধনে রুলার নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।

রুলার সভাপতি অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি বলেন, রুলার সদস্য অ্যাডভোকেট মিনহাদুজ্জামান লীটন একজন ভালো আইনজীবী, জনপ্রতিনিধি ও ভালো মনের মানুষ। তিনি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসীরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক আহত করেছে। তিনি এখন মৃত্যুশয্যায়।

তিনি বলেন, আমরা রুলার পক্ষ থেকে আজ বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। সারাদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আমাদের ২৫০০ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আমাদের সংগঠনকে কখনও হেয়ভাবে দেখবেন না। আমি বলতে চাই, যারা লীটনের ওপর হামলা করেছে তাদের বিচার হতে হবে। অবিলম্বে সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে আইনের শাসনের জন্য যারা কাজ করছেন তাদের সাথে অনৈতিক আচরণ সহ্য করা হবে না।

অ্যাডভোকেট যুথি বলেন, আমি বলতে চাই, এরকম কোনো ঘটনা আমাদের কোনো সদস্যের সঙ্গে যদি আরেকটি ঘটে, তাহলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি দিয়ে তা রুখে দাঁড়াব। লীটনের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও রুলার  নেতা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাকিলা রওশন, অ্যাডভোকেট আমিনুল হক হেলাল, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। রুলার অন্যান্য সদস্যসহ দুই শতাধিক আইনজীবী মানববন্ধনে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর সোনাতলা পৌরসভা নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম আকন্দ নান্নু ও আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শাহিদুল বারী খান রব্বানীর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ  হয়। প্রতিপক্ষের বেধড়ক মারধর ও ছুরিকাঘাতে আহত হন পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক নাহিদ হাসান জিতু (৩৫)। এ সময় এগিয়ে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিনহাদুজ্জামান লীটন। পরে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হলে গুরুতর আহত হন।

এমএইচডি/এইচকে