জাতীয়করণ হওয়া মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে (হাই স্কুল) সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে ইতোমধ্যে নিয়োগ হওয়াদের মতো এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জাতীয়করণ হওয়া মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে ইতোমধ্যে নিয়োগ হওয়াদের মতো এডহক ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

দেশের বিভিন্ন এলাকার জাতীয়করণ হওয়া মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে কর্মরত ২৪ জন শিক্ষকের দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ  শিক্ষা বিভাগ) ও শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট বিপুল বাগমার।

অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, সরকার আবেদনকারীদের বিদ্যালয়সহ অনেকগুলো বেসরকারি হাইস্কুল ২০১৮ সালে জাতীয়করণ করে এবং জাতীয়করণ হওয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্নীকরণ/নিয়োগ করা হয় এবং জাতীয়করণ হওয়া মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু আবেদনকারীদের আজ পর্যন্ত সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) পদে নিয়োগ করা হয়নি। তাই আবেদনকারীরা রিট দায়ের করেন।

মো. রফিকুল ইসলাম, এ. কিউ. এম. শামসুজ্জোহা, আব্দুলাহ্ আল-নোমান, মো. হুমায়ুন কবির, লোপা রায়, মো. রেজাউল করিম,   হাবিবা সিদ্দিকা, এ. এফ. এম. মমিনুর রফিক, মো. সিদ্দিকুর রহমান ও রমেশ মণ্ডলসহ ২৪ জন রিট দায়ের করেন। 

এমএইচডি/জেডএস