মডেল ও অভিনেত্রী সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায় শুনতে আদালতে এসেছিলেন তার বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম। আশা করেছিলেন, দীর্ঘদিন পর মেয়ে হত্যার বিচার পাবেন তিনি। কিন্তু সেই আশা পূরণ হলো না তার। আদালতে এসে শুনলেন তার সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি। 

পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষ তিন্নির বাবা ও চাচা সৈয়দ রেজাউর করিমের সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বিচারক কেশব রায় চৌধুরী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।

তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন্নিকে যখন হত্যা করা হয় তখন তার ছেলে আনুশকার দেড় বছর বয়স। এখন আনুশকা তার বাবার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছে। মাকে হত্যার বিষয়ে কিছুই জানেন না সে। তাকে এ ঘটনা থেকে দূরে রাখা হয়েছে। 

এর আগে কেন সাক্ষ্য দিতে আসেননি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।’

আদালত থেকে কোনো সমন প্রসেস পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।’

এর আগে দুপুর ১২টায় বিচারক এজলাসে আসেন। এরপরেই রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ভোলা নাথ দত্ত বাদী তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিমের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ ও চাচা সৈয়দ রেজাউল করিমের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পুনরায় আবেদন করেন। এরপর আদালত তিন্নির বাবা সৈয়দ মাহবুব করিম জিজ্ঞেস করেন আপনি এতদিন সাক্ষ্য দিতে আসেননি কেন? আপনার জন্য আদালত থেকে অনেক প্রসেস পাঠানো হয়েছে। তখন তিন্নির বাবা জানান, তিনি কিছুই পাননি। এরপর আদালত বলেন, আপনি এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। আপনি কবে সাক্ষ্য দিতে পারবেন? তখন তিন্নির বাবা বলেন আগামী মাসে পারব না। তখন বিচারক আগামী ৫ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

গত ২৬ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন রায় ঘোষণা করেননি আদালত। রায় ঘোষণার জন্য আজকের (১৫ নভেম্বর) দিন ধার্য করা হয়েছিল। 

টিএইচ/এসকেডি