শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি বাস, লঞ্চ ও ট্রেনের ভাড়া অর্ধেক করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।

আগামী সপ্তাহে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানান এ আইনজীবী।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খরচ সরকার বহন করে। কিন্তু অর্ধেক ভাড়ার বিষয়ে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা সংবিধানের ১৫ (১), ১৭ ও ২৮(৪) ও ৩১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। লেখাপড়ার পরিবর্তে সরকার শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে সংবিধানের ১৫, ১৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে।

স্বরাষ্ট্র, নৌ, রেল ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে ২২ নভেম্বর শিক্ষার্থীদের যানবাহনে অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন এই আইনজীবী। নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট করা হয়। 

অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, চলতি মাসে তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়। বর্ধিত ভাড়া চালু হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আরও বিপাকে পড়েন। তাই কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীরা দাবি জানাচ্ছে, তাদের জন্য অর্ধেক ভাড়া চালু করা হোক। গত কয়েকদিনে ঢাকার সায়েন্সল্যাব, ফার্মগেটসহ কয়েকটি স্থানে এ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

আইনজীবী বলেন, করোনার কারণে অভিভাবকদের আয় কমে গেছে। তারা স্কুল-কলেজের বেতন পরিশোধ করতেই হিমশিম খাচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন যৌক্তিক।

নভেম্বরের শুরুতে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করেন বাস, ট্রাকসহ পণ্যবাহী যানবাহনের মালিকরা। এ অবস্থায় বাস ভাড়া নির্ধারণের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গত ৭ নভেম্বর পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে নতুন বর্ধিত ভাড়াও নির্ধারিত হয়। সেখানে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়ার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

এমএইচডি/জেডএস/জেএস