বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা ওড়ানোর অভিযোগে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ বাবর আজম ও কোচ সাকলাইন মুশতাকসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিকের আদালতে মামলার আবেদন করেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আল মামুন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনা শেষে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- মনসুর রানা, শাদাব খান, ফখর জামান, আসিফ আলী, হায়দার আলী, হারিস রউফ, হাসান আলী, ইফতেকার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, শাহনেওয়াজ দাহানি, ওসমান কাদির ও শহীদ আসলাম।

মামলার বাদী মোহাম্মদ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। ১৩ নভেম্বর ঢাকায় পৌঁছে ১৫ নভেম্বর প্রথমবারের মতো অনুশীলনে নামে সফরকারীরা। অনুশীলনের সময় তারা মাঠে কয়েকটি খুঁটি গেঁড়ে সেগুলোতে পাকিস্তানের পতাকা ওড়ান। এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকদিন ধরে বেশ আলোচনা চলছে এ নিয়ে। দেশটি যখন পাকিস্তান এবং সামনে বাংলাদেশের বিজয়ের মাস, আলোচনার মাত্রা তাই ছাড়িয়েছে বহুগুণ।

অবশ্য পাকিস্তান দলের এমন কৌশলের কারণ ঢাকা পোস্টের কাছে ব্যাখ্যা করেছেন পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদিস।

ইব্রাহিম বাদিস বলেন, ‘ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এই কৌশল চালু করেন হেড কোচ সাকলায়েন মুশতাক। তিনি জাতীয় দলে যোগ দিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতিতে এটি প্রথম চালু করেন। আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমরা তা অনুসরণ করেছি।’

বিশ্বকাপে আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সূচি ছিল পাকিস্তানের। এই সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে গিয়েই নিরাপত্তা শঙ্কায় সিরিজ স্থগিত করে দেশে ফিরে যায় কিউইরা। এই সিরিজ দিয়েই পাকিস্তান জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব শুরু করেন সাকলায়েন মুশতাক। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম ছড়িয়ে দিতে অনুশীলনের সময় আশপাশে জাতীয় পতাকা রাখেন।

টিএইচ/ওএফ/জেএস