অর্থপাচার মামলায় পাহাড়ি সংগঠন ইউপিডিএফ-জেএসএসের সদস্য শংকদাস বড়ুয়ার (৪৬) আগাম জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন ও তাপস কুমার বিশ্বাস। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

সিআইডির এসআই মো. মেহেদী হাসান বাদী হয়ে রাঙামাটি সদর থানায় গত ১৯ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলাটি করেন। এ মামলায় তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, শংকদাস বড়ুয়ার আগাম জামিন শুনানির সময় আদালত তার বিষয়ে রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কাছে খবর নিতে আমাকে মৌখিক নির্দেশ দেন। কথা বলে অবহিত করার পর আদালত পুলিশ সুপারকে জুম আইডির মাধ্যমে সংযুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেন। তখন রাঙামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন জুম আইডির মাধ্যমে হাইকোর্টে সংযুক্ত হন। আদালত পুলিশ সুপারের মাধ্যমে বিস্তারিত শোনেন।

এরপর আদালত আসামির আগাম জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে সরাসরি হাজতে নেওয়ার জন্য শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দেন—জানান আমিন উদ্দিন মানিক।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শংকদাস বড়ুয়া মা-বাবা টিম্বার অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার ব্যবসার আড়ালে মূলত ইউপিডিএফ ও জেএসএস নামক দুটি সংগঠনের সদস্য হয়ে চাঁদাবাজি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড, জনতা ব্যাংক লিমিটেড ও গ্রামীণ ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন শাখায় মোট নয়টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া যায়। এসব হিসাব থেকে সর্বমোট ১৪ কোটি ৩৭ লাখ ৭১ হাজার ৭২৪ টাকা উত্তোলন করা হয়। তার মানি লন্ডারিংয়ের পরিমাণ আনুমানিক এক কোটি ৩০ লাখ টাকা।

এমএইচডি/এমএআর/