দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

প্যারাডাইস ও পানামা পেপার্সে নাম আসা অর্থ পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে প্রতিবেদনের ওপর শুনানির সময় সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ছিলেন আব্দুল কাইয়ুম, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

শুনানির এক পর্যায়ে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার দুদককে উদ্দেশ্য করে বলেন, পানামা পেপার্সে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে কী করা হয়েছে, সেটা আমরা দেখতে চাই। পানামা পেপার্সে যে নামগুলো এলো তার কী হলো। আপনারা না পারলে বলে দেন।

হাইকোর্ট বলেন, দুর্নীতিবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারি না। সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে। আমাদের দেশে অনেক ধরনের সংগঠন আছে। কিন্তু দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন নেই। পাশের দেশ ভারতে কিন্তু দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন আছে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এই দেশ অর্জন করেছি। দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারীদের কাছে এই দেশ আমরা ছেড়ে দিতে পারি না। আমাদের বসে থাকার সময় নেই। দেশের চিন্তায় মাঝে মাঝে ঘুমাতে পারি না। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হোক এটা আমরা চাই না। আমরা কেন? কেউই চায় না। তাই আমাদের কিছু করতে হবে।

পরে পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসা অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও সিআইডিকে তা জানাতে বলা হয়েছে।

এর আগে রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুদক পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসা অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা পৃথক দুটি প্রতিবেদনে হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।

এমএইচডি/জেডএস