অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ওটিটি (ওভার দ্যা টপ) থেকে অশ্লীলতা রোধ, রাজস্ব আদায় এবং এসব প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত নীতিমালা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এখন পর্যন্ত নীতিমালার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার অগ্রগতি প্রতিবেদনও বিটিআরসিকে আগামী ২৬ মে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ওটিটি (হইচই, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, বঙ্গবিডি) থেকে অশ্লীলতা রোধ, রাজস্ব আদায় এবং এসব প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা করতে কমিটি গঠন করে বিটিআরসি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৮ জানুয়ারি খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।  

মো. তানভীর আহমেদ বলেন, আদালতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং সাইবার পুলিশ সেন্টার থেকে দুটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

বিটিআরসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের রেগুলোশন না থাকায় এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে কোনো রাজস্ব আদায় হয় না।

একইভাবে সাইবার পুলিশ সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইন থাকলেও এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে অশ্লীলতারোধে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। ফলে সবসময় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে যদি এ ধরনের একটা নীতিমালা হয় তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সুবিধা হবে। এসব বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে আদালত একটি খসড়া নীতিমালা করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নেটফ্লিক্স, হইচইসহ ইন্টারনেট মাধ্যমে (ওটিটি প্লাটফর্ম) ছড়িয়ে পড়া ওয়েব সিরিজের অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইন বহির্ভূত ভিডিওর অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে  রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও নেটফ্লিক্সের মতো অন্যান্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে কীভাবে রেভিনিউ সংগ্রহ করা হয় তা ১ মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

এমএইচডি/এসকেডি