নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও তার সহোদর আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ হাইকোর্টে এসেছেন।

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে উচ্চ আদালত থেকে নেতা-কর্মীদের জামিন মুক্ত করতে তারা হাইকোর্টে আসেন।

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছোট ভাই কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে অনেক রাজনৈতক মামলা আছে। এছাড়া সিটি নির্বাচনের সময় আমাদের অনেক নেতা কর্মীকে হেফাজতের মামলায় জড়ানো হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন আমাদের বাড়ি থেকেও আমাদের আত্মীয় স্বজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকে কারাগারে রয়েছেন। তাদের জামিনের আবেদন করার জন্য হাইকোর্টে এসেছি।

গত ১৯ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার পরাজিত হন। পরে তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তৈমূর আলম খন্দকার সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।

এদিকে নাসিকের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ পুনরায় কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন।

করোনা পরিস্থিতিতে সেবামূলক কাজ করে আলোচনায় আসেন কাউন্সিলর খোরশেদ। করোনায় মৃতদের দাফন করতে টিম গঠন করেন তিনি। তার এ উদ্যোগ সারাদেশে প্রশংসিত হয়। খোরশেদ পান ‘করোনা হিরো’ উপাধি।

এমএইচডি/এসএম