ঘুষ লেনদেন : এনামুল বাছিরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু
ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে বরখাস্ত হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। রোববার তার আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন।
এদিন বাছিরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন ১০ ফেব্রুয়ারি। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ তারিখ ধার্য করেন।
বিজ্ঞাপন
একই মামলার আরেক আসামি বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান। তার পক্ষে বৃহস্পতিবার আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
এর আগে, ২৪ জানুয়ারি দুদকের পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন সংস্থাটির আইনজীবী মোশাররফ হোসেন।
বিজ্ঞাপন
রোববারের শুনানিতে মিজানুর ও বাছিরকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, বাছিরের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হলে মামলাটি রায়ের পর্যায়ে যাবে।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলায় ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
দুদকের মামলা থেকে বাঁচিয়ে দিতে তৎকালীন ডিআইজি মিজানুরের কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয় সংস্থটির পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।
তদন্ত শেষে পরের বছরের ১৯ জানুয়ারি মিজানুর ও বাছিরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। আদালত একই বছরের ১৮ মার্চ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০২০ সালের ১৯ আগস্ট মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কমিশনের দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় এনামুল ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অবৈধ সুযোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি মিজানুরকে কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন। তিনি ঘুষের ওই টাকার অবস্থান গোপন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন।
আরএইচ