ব্যাংকারদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ নিয়ে অ্যামিকাস কিউরিদের (আদালতের বন্ধু) বক্তব্য শুনবেন হাইকোর্ট।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকারদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই রুল শুনানির জন্য চার জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দেন আদালত। চার অ্যামিকাস কিউরি হলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও প্রবীর নিয়োগী। 

সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ও বিনিয়োগকারী ফরহাদ বিন হোসেন। 

আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম মাসুম ও সাইফুর রহমান রাহী, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। 

৭ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহী বলেছিলেন, ব্যাংকারদের সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করে গত ২০ জানুয়ারি এবং পরে সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে আমরা গত ৩ ফেব্রুয়ারি রিট দায়ের করি। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে ওই সার্কুলার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি চারজন অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দিয়েছেন। তারা মতামত জানাবেন আসলে বাংলাদেশ ব্যাংক এ ধরনের সার্কুলার জারি করতে পারে কি না। 

আদালতে আমাদের বক্তব্য ছিল- বাংলাদেশ ব্যাংক হলো প্রাইভেট ব্যাংকের রেগুলেটরি অথরিটি। তারা ম্যানেজমেন্ট পলিসিতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে কিন্তু স্যালারি নির্ধারণ করে তারা দিতে পারে না। ব্যাংকারদের জন্য সর্বনিম্ন বেতন ২৮ হাজার টাকা বেঁধে দিয়ে গত ২০ জানুয়ারি পরে সংশোধন করে ১ ফেব্রুয়ারি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চ থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।

এমএইচডি/জেডএস