বিয়ের উদ্দেশ্য হলো সুখে সংসার করা। কিন্তু কোনো কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক কোথায় এসে যেন আটকে যায়। সম্পর্কটি তখন ধীরে ধীরে আকর্ষণ হারাতে শুরু করে। ঝগড়া কিংবা তর্কও হয়তো আর করে না, কিন্তু পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগও থাকে না। পাশাপাশি থাকলেও যেন দুজনের মধ্যে হাজার বছরের দূরত্ব। 

সম্পর্কটি নষ্ট হতে শুরু করলে তারা একে অপরের প্রতি এতটা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে যে পরস্পরের অনুভূতিকেও আর বিবেচনা করে না। এই ধরনের অসুখী দাম্পত্য জীবনকে পিষে দিয়ে যায় দেয় পথের সবকিছুকে ধ্বংস করে দেয়। জেনে নিন কাদের অসুখী দম্পতি বলা যায়-

অবিরাম সমালোচনা

আপনি এবং আপনার সঙ্গী যদি ক্রমাগত একে অপরের সমালোচনা করেন এবং প্রতিটি উত্তপ্ত তর্কের সময় একে অপরের দোষগুলোই তুলে ধরেন, তবে এটি হতে পারে অসুখী দাম্পত্যের চিহ্ন। যেখানে একে অপরের সমালোচনা করাই উদ্দেশ্য, সেই সম্পর্ক কি সুন্দর হতে পারে? 

অযৌক্তিক আচরণ

যখন আপনার চাহিদা এবং চাওয়া দুটোই বিবেচনা করার কথা আসে তখন আপনি এবং আপনার সঙ্গী দুজনেই অযৌক্তিক করেন কি? 
সেখানে শুধু মারামারি এবং ভুল বোঝাবুঝিতে পূর্ণ কথোপকথনই হবে, কারণ আপনারা উভয়ই ব্যক্তিগত স্বার্থে স্থির থাকেন, সঙ্গীর নয়।

ব্যঙ্গাত্মক রসিকতা এবং খারাপ হাস্যরস

যেকোনো দম্পতির মধ্যে একটু হাস্যরস এবং নির্দোষ খোঁচা থাকতেই পারে, কিন্তু কদর্য কৌতুক করা এবং ব্যঙ্গাত্মক উত্তর দিয়ে ঝগড়াঝাটি করা মূলত আপনার সঙ্গীকে বোকা বানানো। এটি করা ভালো কিছু নয়। আপনার সঙ্গী চরমভাবে আহত এবং বিব্রত বোধ করতে পারে। তাই এ ধরনের অভ্যাস যদি কোনো সঙ্গীর থাকে, তাহলে সম্পর্কটিকে আর সুখী বলা যায় না।

প্রতিরক্ষামূলক কর্ম

অসুখী দাম্পত্যের আরেকটি স্পষ্ট লক্ষণ হলো আপনি এবং আপনার সঙ্গী একে অপরের ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে আত্মরক্ষামূলক হয়ে উঠছেন। স্বামী-স্ত্রী এমন ক্ষেত্রে আত্মরক্ষা করার চেষ্টা করে যখন তারা জানে যে তারা দোষী কিন্তু স্বীকার করতে চায় না। বিয়ের ক্ষেত্রে আঅহংকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত নয়।