দাড়ি রাখলে পুরুষের সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়। এখনকার তরুণদের মধ্যে দাড়ি রাখার প্রবণতা বেড়েছে। মুখভর্তি দাড়ি এখন আকর্ষণীয় পুরুষের অন্যতম চিহ্ন। তাই তরুণেরাও এখন দাড়ি লম্বা করার টিপস খুঁজছেন। কারণ সবার দাড়ি একইভাবে লম্বা, ঘন হয় না। বাজারে দাড়ির যত্ন নেওয়ার জন্য বিভিন্ন উপাদান কিনতে পাবেন। সেসব ব্যবহারের পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে খাবারের প্রতিও। কারণ কিছু খাবার দাড়ি দ্রুত লম্বা করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

পালং শাক

পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় অন্যতম নাম হলো পালং শাক। সবুজ এই শাকে আছে প্রচুর ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডের মতো পুষ্টি উপাদান। তাই পালং শাক খেলে তা দাড়ির বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। কারণ এতে থাকা উপকারী উপাদানসমূহ চুলের ফলিকলে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

টুনা মাছ

সামুদ্রিক মাছ টুনা। এটি পুষ্টিগুণেও অনন্য। নিয়মিত খাবারের তালিকায় এই মাছ যোগ করলে তা দাড়ি লম্বা করতে সাহায্য করবে। এই মাছে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিন। এই দুই উপাদান শুধু দাড়ির বৃদ্ধিই বাড়ায় না দাড়িকে চকচকেও করে। সেইসঙ্গে ত্বককে করে আরও উজ্জ্বল।

দারুচিনি

আমাদের অধিকাংশ রান্নায় দারুচিনির ব্যবহার হয়ে থাকে। এটি মসলা হিসেবে দারুণ জনপ্রিয়। সুগন্ধি এই মসলা দাড়ির বৃদ্ধিতেও সাহায্য করতে পারে। সেক্ষেত্রে দারুচিনির পেস্ট মুখে প্রয়োগ করা যেতে পারে। ভালো ফল পেতে দারুচিনির পেস্টের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর দাড়িতে আলতো করে লাগিয়ে নিন। এটি ত্বকের ছিদ্রগুলো খুলতে সাহায্য করে। যে কারণে দাড়ির বৃদ্ধি আরও ভালো হয়।

কুমড়ো বীজ

কুমড়োর পাশাপাশি কুমড়োর বীজও বেশ উপকারী। এই বীজ খেলে তা দাড়ি লম্বা, ঘন ও সুন্দর হতে সাহায্য করে। কারণ কুমড়োর বীজ জিঙ্কের মতো খনিজ পদার্থে ভরপুর থাকে। এই উপাদান দাড়ির স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি ঘটায়। কুমড়োর বীজ প্রথমে শুকিয়ে নিন। এরপর ভেজে কিংবা কাঁচা খেতে পারেন।

নারিকেল তেল

নারিকেল তেল চুলের জন্য ভীষণ উপকারী একথা তো সবারই জানা। সেইসঙ্গে এটি উপকার করবে দাড়িরও। নিয়মিত নারিকেল তেল ম্যাসাজ করলে ঘন ও মজবুত দাড়ি পাবেন। সেইসঙ্গে ভোজ্য নারিকেল তেলে খাবার রান্না করে খেলেও মিলবে উপকার।