বিরাট কোহলি তার ফিটনেসের প্রতি সব সময়েই বিশেষ নজর রাখেন। নিয়মিত জিমে গিয়ে অনুশীলন করেন তিনি। তরুণদের কাছে তার ফিটনেস অনুসরণীয়। মুখভর্তি চাপ দাড়ি, চুলের কাট এবং তার অন্যান্য স্টাইল স্টেটমেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্তমানের যুবকদের কাছে। এই কাঙ্ক্ষিত ফিটনসে পাওয়ার জন্য পরিশ্রম তো করতে হবেই। শরীরচর্চা ও ডায়েটের পাশাপাশি বিরাট চিন্তা-ভাবনায়ও থাকেন ইতিবাচক। তার মতে, কোনোকিছুর ফলাফল আপনার হাতে নেই, শুধু চেষ্টা করুন এবং কঠোর পরিশ্রম করুন।

ফিটনেস রহস্য

মূলত বিরাট এমন সব শরীরচর্চা করেন, যেগুলোতে পায়ের শক্তি বৃদ্ধি পায়। সেইসঙ্গে পায়ের পেশীও থাকে টানটান। যে কারণে হাঁটা বা দৌড়ানো সহজ হয়। আমাদের শরীরের ভার বহন করে আমাদের দুই পা, তাই পায়ের জোর বেশি থাকলে তার প্রভাব পড়ে শরীরে। বিরাট কোহলি উরুর চর্বি বার্ন হয় এমন শরীরচর্চাও করে থাকেন।

দু’জনে একসঙ্গে

বিরাটের মতো তার স্ত্রী আনুষ্কাও ফিটনেস ফ্রিক। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ওয়ার্কআউট করেন অনেক সময়। তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা ভিডিওতে মাঝে মাঝে এমনটা দেখতে পাওয়া যায়। বিরাট কোহলি ওয়েটলিফটিং করেন। হাতের স্ট্রেনথের জন্য এটি জরুরি। তিনি হাত, কাঁধ, বুক, পিঠকে শক্তিশালী করতে পুশআপ করেন। সেইসঙ্গে তিনি সিক্স-প্যাক অ্যাবস পেতে ক্রাঞ্চ, সিট-আপও করেন। ৫-১০ মিনিটের জন্য মাঝারি ক্রাঞ্চ করা ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। এতে শরীরের নমনীয়তাও বজায় থাকে। 

সাঁতার কাটা

জিমে ওয়ার্কআউট করার পাশপাশি বিরাটের আরেকটি পছন্দের কাজ হলো সাঁতার কাটা। তিনি নিজের ওজন ঠিক রাখতে নিয়মিত সাঁতার কাটেন। পানিতে কিছুটা রিল্যাক্স হওয়া এবং ফিট থাকার জন্য সাঁতার তার খুব প্রিয়। পেটের মেদ কমাতেও সাঁতার ভালো কাজ করে। এটি পেশীকে শক্তিশালী করতে এবং শরীরকে সঠিক আকার দিতে কাজ করে।

এবং খাবার

শুধু শরীরচর্চাই নয়, ফিট থাকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সঠিক খাবার। বিরাট কোহলির ডায়েট রহস্য কী? সুস্থ ও ফিট থাকার জন্য তিনি খাবারের তালিকায় রাখে পুষ্টিকর খাবার। প্রতিদিনের খাবারে রাখেন ডাল। সেইসঙ্গে প্রচুর সবুজ শাকসবজি, কিইনোয়া, পালং শাক, ডিম, বাদাম, ধোসা ইত্যাদি নিয়মিত খান তিনি। দিল্লির ছেলে বিরাট পছন্দ করেন বাটার চিকেন, তন্দুরি রুটি খেতেও। তবে এধরনের খাবার বছরে এক-আধবারই খেয়ে থাকেন তিনি। কারণ এসব খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ থাকে বেশি। তিনি চাইনিজ খাবার খেতেও পছন্দ করেন। বিরাটের পছন্দের পানীয়র তালিকায় আছে কফি। সময় পেলে কফির কাপে চুমুক দিতে পছন্দ করেন তিনি।