ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। এটি মলত্যাগের সমস্যা। যেকোনো সময় পেট ব্যথা, বাথরুমের চাপ এই সমস্যার প্রধান লক্ষণ। আইবিএস সমস্যায় বেশি ভুগতে হয় কোথাও বের হওয়ার সময় বা বের হলে। কারণ এটি যখন তখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
 
অনিয়মিত খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত মদ্যপান ইত্যাদি কারণে আইবিএস সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণেও দেখা দিতে পারে আইবিএস। যেকোনো বয়সেই দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। ভারতীয় সেলেব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা আইবিএস সম্পর্কে জানায়িছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

​আইবিএসের লক্ষণ

*পেটে ব্যথা থাকে।

*পেটজুড়ে কামড়ে ধরা ও মোচড় দিয়ে ব্যথা থাকে।

* নাভির নিচ থেকে বাঁ দিক চেপে কুঁকড়ে যাওয়া ব্যথা হতে পারে।

* বাথরুমের চাপ বাড়লে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে।

* মলত্যাগ করলেই ব্যথা চলে যাবে।

* গ্যাস, পেটের উপরে চাপ, অস্বস্তি, বারবার ঢেঁকুর তোলা।

আইবিএসের রোগীরা যা করবেন

আইবিএসের রোগীরা সালাদ, স্মুদি, জুস, চকোলেট, অল্প চিনি মেশানো শরবত খাবেন। এছাড়া খাবেন মাখন কলা, প্রিবায়োটিক খাবার খান। প্রতিদিন দুপুরে চেষ্টা করুন হালকা ঘুমাতে। প্রতিদিন সকালে দ্রুত ঘুম থেকে উঠে যাবেন। এতে শরীরের ভেতরের কার্যপ্রক্রিয়া পরিচালনা সহজ হবে।

​মাখনের উপকারিতা

আইবিএস রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত মাখন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মাখনের স্যাচুরেটেড ফ্যাট নিয়ে কিছুটা ভয় থাকলেও এর উপকারিতা কিন্তু অনেক। মাখন খেলে তা আমাদের কোষের মেমব্রেন মজবুত করতে, লিভারের কার্যকারিতা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে ও হাড়ের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই মাখন আইবিএস রোগীদের জন্য কার্যকরী একটি খাবার। রুটি বা চাপাতির সঙ্গে মাখন মিশিয়ে খাবেন।

​কলা খাওয়ার উপকারিতা

কলা একটি উপকারী ফল একথা সবারই জানা। পাকা কলা রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ শর্করায় পরিবর্তিত হতে থাকে। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। কলা খেতে সুস্বাদু এবং সেইসঙ্গে পুষ্টিকরও। প্রতিদিন সকালের নাস্তায় একটি করে কলা রাখবেন। পেট খারাপের সমস্যায় ভুগলে খেতে পারেন কাঁচা কলা। কলায় থাকে পটাশিয়াম, মিনারেল ও ভিটামিন সি। এটি স্বাস্থ্যকর একটি ফল।