প্রতীকী ছবি

হজমের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে পরিচিত চিত্র। অনেকেরই প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে হয়। নয়তো হজমের সমস্যায় কাবু হতে সময় লাগে না। আমাদের আধুনিক জীবনযাত্রায় হজমের সমস্যা না হওয়াটাই বরং বিস্ময়কর। কারণ খাবারের ক্ষেত্রে অনেক নিয়মই শেষ পর্যন্ত মেনে চলা সম্ভব হয় না।

এদিকে পুরুষের তুলনায় নারীরাই বেশি হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন- এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। শারীরিক গঠনগত পার্থক্যের কারণে এটি বেশি হয়ে থাকে। উপসর্গের ক্ষেত্রেও পার্থক্য চোখে পড়ে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা স্বাদের পার্থক্য বেশি করতে পারেন। হজমের সমস্যা মেয়েদের ক্ষেত্রে তাই বেশি দেখা দেয়।

হজমের সমস্যায় বেশি ভোগেন নারীরা/ প্রতীকী ছবি

বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীর পাকস্থলী ও ইসোফেগাসের মধ্যবর্তী ভালভটি বেশ কঠিন আর শক্তিশালী। ফলে তাদের ক্ষেত্রে অ্যাসিড রিফ্লেক্সের সমস্যা বেশি দেখা যায়। বুকে জ্বালাপোড়া হলে মেয়েরা তাই বেশি টের পেয়ে থাকেন। এমনিতেও ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ঝাল-মশলাযুক্ত ও মুখরোচক খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। অনেকে আবার ঘুমের আগে চকোলেট খেয়ে থাকেন। এসব অভ্যাসও হজমের সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। সকালের খাবার ঠিকভাবে না খেলেও এই সমস্যা দেখা দেয়। 

মেয়ে হোক কিংবা ছেলে, হজমের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই খাবারে দিকে নজর দিতে হবে। নিয়ম মেনে খাওয়ার পাশাপাশি খেতে হবে হজমে সহায়ক খাবার। নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ওজনও। ঘরোয়া নানা উপায় মেনে চলার পরেও যদি হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি না মেলে তবে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। নিয়মিত গ্যাস্ট্রিকেও ওষুধ খেলে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এমনকী অস্টিওপোরেসিসের মতো সমস্যাও হতে পারে। মেয়েদের ক্ষেত্রে যেহেতু হাড়ের সমস্যা বেশি দেখা দেয় তাই এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।

জীবন সুন্দর করতে এ সমস্যা থেকে মুক্তি প্রয়োজন/ প্রতীকী ছবি

অনেক নারী সংসারের নানা কাজের চাপে খাওয়ার সময় বের করতে পারেন না। এক বেলার খাবার অন্য বেলায় খেয়ে থাকেন। ফলে দেখা দেয় পেট ভার হয়ে থাকা, গ্যাস, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যা। তাই খাবারের সময় নির্দিষ্ট করে খেতে হবে। শত ব্যস্ততা থাকলেও নিজের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। খাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে না থাকলে ছোট ছোট ভাগ করে কিছুক্ষণ পরপর খেতে পারেন। অতিরিক্ত তেল-মশলা ও ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। খেতে হবে ফাইবার ও পানি সমৃদ্ধ খাবার। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে সহজেই। 

এইচএন/এইচকে