বিভিন্ন খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে কাজ করে ঘি। শুধু কি তাই? এটি আমাদের সুস্থ রাখতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। অনেকে আবার ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ঘি খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু ঘি খেলেই ওজন বেড়ে যায় এমনটা মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ঘি কেবল তখনই শরীরের ক্ষতি করে যখন তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া হয়। প্রতিদিন ধোঁয়াওঠা গরম ভাতে এক চামচ ঘি খেলে মিলবে অনেক উপকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শক্তি বৃদ্ধি করে

শরীরে শক্তি বাড়াতে চাইলে প্রতিদিন ঘি আপনি খেতেই পারেন। কারণ এটি শরীরে পুষ্টি পৌঁছে দেয়। গরম ভাতের সঙ্গে এক চামচ ঘি খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘিয়ে ফ্যাটের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। তাই ওজনের সঙ্গে সমন্বয় করে খাওয়াই ভালো। যেকোনো খাবারই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া হলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। গরম ভাতে ঘি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। ঘি খেলে নানা ধরনের সংক্রমণ ও অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, ঘিয়ে থাকে বাটরিক অ্যাসিড। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। ঘিয়ে থাকা ভিটামিন এ এবং সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কার্যকরী।

পানির অভাব দূর করে

আমাদের শরীরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে ঘি। এর ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য শরীরকে ভেতর থেকে আর্দ্র রাখতে কাজ করে। শরীরে কোনো কারণে পানির ঘাটতি দেখা দিলে পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি ঘি খাওয়ার অভ্যাস করুন। ঘি খেলে ত্বকও ভালো থাকে। ঘিয়ে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট। ঘিয়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

​হজমক্ষমতা ভালো রাখে

ঘি খেলে তা ভালো হজমে সাহায্য করে। হজমে উন্নতি এবং পুষ্টির মান শোষণে কাজ করে ঘি। এতে থাকে প্রচুর বিউটারিক এসিড যা ইন্টেস্টাইনর কার্যক্ষমতা বাড়ায়। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সামান্য হলেও কমে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।

শরীর ঠান্ডা রাখে

ঘি খেলে আমাদের মন এবং শরীরে এক ধরনের শীতলতা আসে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘি প্রদাহ হ্রাস করে। সেইসঙ্গে এটি শরীরকে শিথিল রাখতে কাজ করে। ঘি মিষ্টি এবং শীতল প্রকৃতির। ফলে গরমেও ঘি খাওয়া যায়।