রক্তচাপের সমস্যা এখন অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা দিচ্ছে। কারও ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ আবার কারও ক্ষেত্রে নিম্ন রক্তচাপ বা লো ব্লাড প্রেসার। ব্লাড প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরা, ঘাড়ে ব্যথা, বমি বমিভাব দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা একবার সেরে গেলেও নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই, আবার যেকোনো সময় দেখা দিতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে ভেবে আগের মতোই অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন অনেকে। ফলে আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এই সমস্যা। তাই রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসারে কোনো রকম সমস্যা দেখা দিলে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাপনে। বিশেষ করে খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে। খেতে হবে এমন কিছু খাবার যা এই সমস্যা থেকে দূরে রাখবে।

ডিমের উপকারিতা

অনেক অসুখের ক্ষেত্রেই ডিম বেশ উপকারী একটি খাবার। নিম্ন রক্তচাপের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। ডিমে আছে ভিটামিন বি-১২ যা আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকার উত্পাদন বাড়াতে সাহায্য করে। যারা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খেলে উপকার পাবেন।

চকোলেটও উপকারী

স্বাদের জন্য চকোলেট প্রায় সবার কাছেই পছন্দের একটি খাবার। স্বাদ ছাড়াও এটি স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকার বয়ে আনে। তবে যেকোনো চকোলেট নয়, খেতে হবে ডার্ক চকোলেট। এই চকোলেটে আছে ফ্ল্যাভ্যানলস নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এই উপাদান আমাদের রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

আঙুর কেন খাবেন

উপকারী ফল আঙুর। মিষ্টি স্বাদের এই ফল নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। রক্তচাপ কমে গেলে একগ্লাস আঙুরের রস খেয়ে নিন। এতে দ্রুতই উপকার পাবেন। আঙুরে আছে পটাশিয়াম। যা আমাদের রক্তনালীর প্রাচীর শিথিল করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের হার্ট কিংবা ধমনীর সুস্থতার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। তাই নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগলে আঙুর বা আঙুরের রস খেতে পারেন।

ক্যাফেইন

পরিমিত ক্যাফেইন রক্তচাপ বাড়াতে বেশ ভূমিকা রাখে। তাই হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে এককাপ কফি খেতে পারেন। এতে খুব দ্রুতই রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। সবচেয়ে ভালো হয় ব্ল্যাক কফি পান করতে পারলে। কফি না থাকলে এর বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন লিকার চা। এটিও বেশ কার্যকরী।

তরল খাবার

নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা হলে বেশি বেশি তরল খাবার গ্রহণ করা উচিত। আমাদের শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে দেখা দিতে পারে নিম্ন রক্তচাপ। তাই শরীর ভেতর থেকে আর্দ্র রাখা ভীষণ জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হবে। তবে শুধু পানি নয়, পানির পরিমাণ বেশি এমন সব খাবারও খেতে হবে। নানা ধরনের ফল খেতে পারেন। ডাবের পানি, তরমুজ, লাচ্ছি, ঘোল এসবও খেতে পারেন। 

টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে।

এইচএন/এএ