একঢাল ঘন চুলের স্বপ্ন থাকে অনেক মেয়ের। চুল ঘন হলে বাহ্যিক সৌন্দর্য বেড়ে যায় অনেকখানি। কিন্তু ঘন চুল পাওয়ার জন্য প্রয়োজন পরিচর্যার। চুলের যত্নে ব্যবহৃত শ্যাম্পু ও তেলের মান যেন ভালো হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। খাবারে অনিয়ম করা চলবে না। খেতে হবে সুষম খাবার। যেসব কোষ দিয়ে চুল তৈরি হয় তার প্রধান উপাদানের নাম কেরাটিন। এটি এক ধরনের প্রোটিন। তাই চুল ভালো রাখতে খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন রাখতে হবে।

প্রতিদিন পর্যাপ্ত মাছ রাখুন পাতে

মাছ আমাদের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় একটি খাবার। এতে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি চুল দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে। মাছে আরও থাকে প্রোটিন, সেলেনিয়াম ভিটামিন ডি থ্রি ও ভিটামিন বি। মাছ খেতে খুব একটা পছন্দ না করলে নানা রকম বাদাম ও বীজ রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়। এতে থাকা নানা উপকারী উপাদানের কারণে আপনার ত্বক ও চুল সুন্দর থাকবে।

ডিম খাবেন যে কারণে

সহজলভ্য ও উপকারী একটি খাবার ডিম। প্রায় সব বাড়িতেই প্রতিদিন ডিম খাওয়া হয়। ডিম দিয়ে তৈরি করা যায় অনেক ধরনের খাবার। এতে আছে বায়োটিন ও প্রোটিন। বায়োটিন কেরাটিনের নির্মাণের জন্য জরুরি একটি উপাদান। ডিমে আরও থাকে জিঙ্ক ও সেলেনিয়াম। এই উপাদানগুলোও চুলের জন্য দরকারি।

প্রতিদিন শাক খান

গরম ভাতের সঙ্গে যেকোনো শাক হলে জমে বেশ। এই শাক কিন্তু আমাদের চুলের জন্য বেশ উপকারী। কারণ আমাদের শরীরে আয়রণের অভাব হলে চুল পড়ে। আয়রনের অভাব হলে শরীরের সবগুলো কোষে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় না। এ কারণেই চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। আর শাকে থাকে আয়রন। এছাড়াও থাকে ফোলেট, ভিটামিন এ ও সি। তাই চুল ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত শাক খেতে হবে।

গাজরে মিলবে উপকার

চোখ জুড়ানো রং গাজরের। এটি দেখতে যেমন সুন্দর, উপকারীও বেশ। গাজরে আছে প্রচুর ভিটামিন এ। এটি আমাদের শরীরের কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এটি নিয়মিত খেলে চুল উজ্জ্বল ও সুন্দর হয়। পাশাপাশি মাথার ত্বকও থাকে সুন্দর।

খেতে হবে লেবুজাতীয় ফল

ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস হলো লেবু। লেবু ও লেবুজাতীয় ফল নিয়মিত খেলে ভিটামিন সি এর ঘাটতি হবে না। পর্যাপ্ত ভিটামিন সি না খেলে আমাদের শরীর ঠিকভাবে আয়রণ শোষণ করতে পারে না। তাই আয়রনের ঘাটতি মেটাতেও ভিটামিন সি প্রয়োজন। কোলাজেন আমাদের চুলের গোড়া শক্ত রাখে। এই কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় হলো ভিটামিন সি।

এইচএন