বাড়ন্ত বয়সে শিশুর বাড়তি যত্নের প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে ২ বছর বয়সের পর, যখন তারা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে শুরু করে। এই সময়ে সঠিক খাবার খাওয়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর বেড়ে ওঠা ও সার্বিক উন্নতির জন্য পুষ্টি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি আপনার জন্য কিছুটা কঠিন হতে পারে তবে শিশুকে শুরু থেকেই শিশুর স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এ ধরনের খাবার শিশুর দক্ষতা, স্মৃতিশক্তি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। সেইসঙ্গে শিশু যেকোনো কিছু খুব সহজেই শিখতে পারবে। শিশুর ২ বছর হয়ে গেলে এই ৫ খাবার বেশি জরুরি-

ডিম

শিশুর সর্বোচ্চ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন পড়ে প্রোটিনের। এদিকে ডিম হলো এই প্রোটিনের অন্যতম উৎস। এটি শিশুকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি পেশী গঠনেও সাহায্য করে। ডিমে থাকা প্রোটিন শিশুর দুর্বলতা ও হাড়ের সমস্যা দূর করে। সেইসঙ্গে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার ফলে শিশু বিভিন্ন ধরনের অসুখ ও সংক্রমণ থেকে দূরে থাকে।

দুধ

প্রতিটি শিশুর জন্যই দুধ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাবার। কারণ এতে থাকে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। দাঁত ও হাড় ভালো রাখতে কাজ করে দুধ। শিশুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এটি ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি দুধে থাকা ক্যালসিয়াম শিশুর স্থূলতা রোধেও কাজ করে যা বর্তমানে বেশিরভাগ শিশুর জন্যই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকায় দুধ খেলে তা পরবর্তীতে শিশুকে নানা ধরনের অসুখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। 

পালং শাক

প্রয়োজনীয় ভিটামিন যেমন ভিটামিন সি, এ এবং কে এর পাওয়ার হাউজ বলা হয় পালং শাককে। এতে আরও থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন যা শিশুর বাড়ন্ত বয়সে প্রয়োজন। নিয়মিত পালং শাক খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে। সেইসঙ্গে এটি রক্ত বা হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও উন্নত করে। সবুজ এই শাকের অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং ভালো রাখে লিভারের স্বাস্থ্যও।

গাজর

ভিটামিন এ-এর সমৃদ্ধ উৎস হলো গাজর। এটি শিশুর জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তির উন্নতি হয় এবং এটি অন্যান্য অঙ্গের পেশীর গঠনেও সাহায্য করে। সুস্বাদু এই সবজি শিশুর দাঁতও ভালো রাখে। ডায়েটরি ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে গাজর শিশুর পেটের সংক্রমণ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধেও কাজ করে। 

কমলা

কমলার মতো যেকোনো সাইট্রাস জাতীয় ফলই শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি করে এবং ঘন ঘন সর্দি-কাশি হওয়া থেকে দূরে রাখে। এতে আরও অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন ফোলেট ও পটাশিয়াম থাকে। কমলা খেলে তা শরীরে আরও বেশি আয়রন শোষণে সাহায্য করে। ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রার উন্নতি হয়। ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট বেশি থাকায় কমলা খেলে তা শিশুর দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেও কাজ করে।

এনডিটিভি অবলম্বনে