করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে এর আতঙ্ক এখনও পুরোপুরি কাটেনি। মানুষ আবার আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চেষ্টা করছে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে অনেক যোগ-বিয়োগ হয়েছে আমাদের জীবনে। এখন প্রায় সবার ব্যাগেই থাকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, বাইরে বের হলে মাস্ক তো থাকেই। টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে বলে মাস্ক পরা বাদ দেবেন না। এই মাস্ক কি সব সময় পড়তে হবে? ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করার সময়ও কি মাস্ক পরে থাকতে হবে?

মাস্ক উপকারী হলেও সব সময় কিন্তু তা নয়। বিশেষ করে শরীরচর্চা করার সময় মাস্ক খুলে রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ আপনি যদি মাস্ক পরে ব্যায়াম করেন তবে দেখা দিতে পারে বুকে ব্যথা। এর কারণ হলো মাস্ক পরা থাকলে শারীরিক পরিশ্রমের ধকল ফুসফুস সহ্য নাও করতে পারে।

মাস্ক সংক্রমণ রুখতে কার্যকরী এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে ব্যায়াম বা শারীরিক যেকোনো পরিশ্রমের সময় মাস্ক খুলে রাখতে হবে। সুস্থ থাকার স্বার্থেই এই কাজ করতে হবে। বাড়িতেই ব্যায়াম করে থাকেন অনেকে। সেক্ষেত্রে মাস্ক পরার দরকার এমনিতেই থাকে না। জিমে সংক্রমণের ভয় থাকলে অন্য ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। দূর‍ত্ব বজায় রেখে শরীরচর্চা করলে সংক্রমণের ভয় থাকবে না।

যে কারণে ব্যায়ামের সময় মাস্ক পরবেন না

ব্যায়াম বা শরীরচর্চার সময় মুখে মাস্ক পরলে থাকে অনেকরকম ঝুঁকি। যেকোনো শারীরিক পরিশ্রম করার সময় আমাদের ফুসফুসে অতিরিক্ত বাতাসের প্রয়োজন হয়। আর সেজন্য ফুসফুসকে পরিশ্রমও করতে হয় অনেক বেশি। কিন্তু আপনি যদি মাস্ক পরে সেই পরিশ্রমের কাজগুলো করেন তাহলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত বাতাস ঢুকতে পারে না। সৃষ্টি হয় বাঁধার। এর ফলে অল্পতেই দেখা দেয় ক্লান্তি। হাঁফ ধরে যায়। পরিশ্রমের সময় একটানা মাস্ক পরে থাকলে ঘেমে গিয়ে অস্বস্তিকর অবস্থার তৈরি হতে পারে।

মাস্ক ছাড়া স্বস্তিবোধ করেন না?

আপনি যদি জিমে বা বাইরে গিয়ে ব্যায়াম করতে চান এবং মাস্ক ছাড়া স্বস্তিবোধ না করেন তখন কী করবেন? এমনটা হলেও আপনাকে মাস্ক ছাড়াই ব্যায়াম করতে হবে। আপনি যদি হার্টের সমস্যা বা হাঁপানির মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে কোনোভাবেই মাস্ক পরে শরীরচর্চা করবেন না। আবার সুস্থ ব্যক্তিরাও ভারী কোনো শরীরচর্চার সময় মাস্ক পরা থেকে বিরত থাকুন। 

এইচএন/এএ