ইফতারে খেজুর থাকেই। সারাদিন রোজা থাকার পর এই ফল থেকে শরীরে নানা উপকার মেলে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা খেজুরকে বলছেন সুপারফুড। সব দেশের মানুষই খেজুর খেতে পছন্দ করেন। খেজুরকে রাজকীয় ফলও বলা হয়। কেবল স্বাদ আর গন্ধের জন্যই নয়, খেজুর পরিচিত এর পুষ্টিগুণের জন্যও। 

পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি একশো গ্রাম খেজুরে পাওয়া যায় ২৮২ ক্যালরি শক্তি, ৭৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.৫ গ্রাম প্রোটিন এবং ০.৪ গ্রাম ফ্যাট। এছাড়া এই ফলে থাকে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় কিছু ভিটামিন। সেইসঙ্গে থাকে কিছু অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড। খেজুর খেলে এই উপকারিতাগুলো পাবেন-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

খেজুর খেলে তা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। আমাদের শরীরে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল তৈরি হয়, যা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে। এদিকে খেজুরে প্রচুরফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যারোটিনয়েড এবং ফেনোলিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এসব উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়তে সাহায্য করে। তাই ইফতার ছাড়াও সারা বছরের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন খেজুর।

​মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি

নিয়মিত খেজুর খেলে তা আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। পাবমেড- এ প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, খেজুরে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড মস্তিষ্কের কোষকে প্রদাহ থেকে রক্ষা করে। এর ফলে কোষগুলো দীর্ঘ সময় সুস্থ থাকে এবং মস্তিষ্ক দ্রুত কাজ করে।

​ফাইবারের উৎস

প্রতিদিনের খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার থাকা জরুরি। কারণ ওজন কমানো, কোলেস্টেরল কমানো এবং কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানোর মতো কাজে ফাইবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত খেজুর খেলে তা আইবিএসের সমস্যা থেকেও রক্ষা করে। তাই খাবারের তালিকায় যোগ করে নিন উপকারী এই ফল।

হাড় ভালো রাখে

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা বাড়তে থাকে। সেসব সমস্যা থেকে দূরে রাখতে কাজ করতে পারে খেজুর। এতে থাকা ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম-সহ অনেক খনিজ হাড় ভালো রাখতে কাজ করে। এসব পুষ্টি উপাদান হাড় মজবুত করতে এবং অস্টিওপোরোসিস রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য জরুরি। তাই হাড় ভালো রাখার জন্য নিয়মিত খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন।

সন্তান প্রসব সহজ হয়

কিছু গবেষণা বলছে যে, গর্ভাবস্থার শেষ সপ্তাহে খেজুর খেলে তা স্বাভাবিক উপায়ে সন্তান জন্মদানে সাহায্য করতে পারে। গবেষকরা খেজুরে উপস্থিত কিছু যৌগকে এই উপকারের জন্য দায়ী বলে মনে করেছেন। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভাবস্থার শেষ সপ্তাহে খেজুর খেতে পারেন।