বিয়ে আনন্দের বিষয় তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু একে ঘিরে নানা দুশ্চিন্তা ভর করাও অস্বাভাবিক নয়। নতুন একটি জীবনে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে কিছু ভয় কাজ করেই। কেমন হবে বিয়ে পরবর্তী জীবন; নতুন পরিবেশ, নতুন সম্পর্ক নিয়ে ভাবনা আসেই। 

এদিকে বিয়ের নানা ঝক্কি-ঝামেলা ডিঙিয়ে নিজের জন্য খানিকটা সময় বের করা সম্ভব হয় না। তাই বিয়ের আগের সময়টা বর-কনে দু’জনকেই বেশ মানসিক চাপ সামলে চলতে হয়। আর এই চাপ সামলাতে গিয়ে তার ছাপ পড়ে চেহারায়। আনন্দের দিনটি হয়ে যায় ক্লান্তিকর। তাই বিয়ের আগে সবরকম মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে। আপনি যদি হন বিয়ের বর কিংবা কনে, তবে জেনে নিন আপনার করণীয়-

প্রয়োজন যথেষ্ট বিশ্রাম

নিজেকে ঝরঝরে রাখার জন্য বিয়ের অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকে একটু আড়ালে চলে যান। অর্থাৎ সব ধরনের দাওয়াত-পার্টি থেকে দূরে থাকুন। চেষ্টা করুন নিজেকে সময় দেয়ার। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ব্যাচেলর পার্টি কিংবা আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি বেড়াতে যাওয়া ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে অলস সময় কাটান। নিজের মতো করে থাকুন। কোনোরকম চাপ নেয়ার প্রয়োজন নেই। শুধু শরীর আর মন যেন বিশ্রাম পায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এই কাজ বর ও কনে দু’জনের জন্যই সমান জরুরি।

ঘুমের ক্ষেত্রে অনিয়ম নয়

বিয়ে মানেই নানা আয়োজন। আর এসময় বাড়িভর্তি মেহমান থাকবেই। আত্মীয়-স্বজনরা একটু আগেভাগেই আসতে শুরু করবেন। আবার বিয়ের পরে নতুন এক জীবনে প্রবেশ করবেন। সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতেও সময় লাগবে। তাই বিয়ের আগে প্রতিদিন তাড়াতাড়ি ঘুমাতে চলে যান। ফোন, ল্যাপটপসহ সব রকম গ্যাজেট থেকে নিজেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন। নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারলে আপনি অনেকটাই ফুরফুরে অনুভব করবেন। ঘুমের ক্ষেত্রে যেন কোনোরকম অনিয়ম না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

সকালে ভরপুর নাস্তা খান

সকালের খাবারটা যেন ভরপুর হয় সেদিকে নজর রাখবেন। সকালে পেটপুরে খাওয়া বেশি জরুরি কারণ রাতে দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের পেট খালি থাকে। এদিকে বিয়ের নানা আয়োজনের চাপে দিনের অন্যান্য সময়ে খাবারটাও ভালো করে খাওয়া হয় না বর-কনের। তাই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান পেতে সকালের নাস্তা হতে হবে ভারী। দুধ, ডিম, ওটস, ফল, কর্নফ্লেক্স, চিড়া, দই ইত্যাদি খেতে পারেন। এতে পুষ্টির পাশাপাশি চেহারায় উজ্জ্বলতাও ফিরে পাবেন।

শরীরচর্চার বিকল্প নেই

বিয়ের আনন্দে শরীরচর্চায় অলসতা দেখাবেন না। নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস ধরে রাখুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে, কমবে মানসিক চাপও। আবার বিয়েতে নানা রকম খাবার খেয়ে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। শরীরচর্চা ধরে থাকলে সেই ভয় অনেকটাই কেটে যাবে।

বিয়ের জুতা আগেই পরুন

বিয়েতে নতুন জুতা পরার কারণে অনেকেরই পায়ে ফোসকা পড়ে। আর এটি মোটেই আরামদায়ক কিছু নয়। ফোসকা পড়ার কষ্টে বিয়ের আনন্দ একটু হলেও ম্লান হয়ে যেতে পারে। তাই সম্ভব হলে বিয়ের দিনের জুতাজোড়া একটু আগেভাগেই কিনে নিন। আর সেই জুতা পরে প্রতিদিন কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে ফোসকা পড়ার ভয় থাকবে না, বিয়ের দিন নতুন জুতা পরে হাঁটতে কষ্টও হবে না।