সংসার সুখের হলে তা কেউ ভেঙে দিতে চায় না। ডিভোর্সের প্রসঙ্গ তখনই আসে, যখন সম্পর্কটি আর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয় না। একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে উভয় পক্ষের সমান না হলেও কাছাকাছি প্রচেষ্টা থাকা লাগে। নয়তো একজনের পক্ষে কোনো সম্পর্ক টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।

তিলে তিলে সাজিয়ে তোলা সংসার হয়তো কাউকে একটা সময় ভেঙে দিতে হয় বাস্তবতার প্রয়োজনে। ডিভোর্স নামের দেয়ার দাঁড়িয়ে যায় দু’জনের মাঝে, যে দু’জন একদিন সবচেয়ে আপন ছিল। এরপর বন্ধ হয়ে যায় মুখ দেখাদেখিও। কেউ কারও নামটাও সহ্য করতে পারে না হয়তো। ডিভোর্স মানেই পৃথিবীর বাকি পথ আলাদা। হয়তো একটা সময় গিয়ে আফসোস হতে পারে, মনে হতে পারে, না ছেড়ে এলেও পারতাম! তাই ডিভোর্সের মতো গুরুতর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভেবে দেখুন এই ৫ বিষয়ে-

সমস্যা সমাধানের যথেষ্ট চেষ্টা হয়েছে?

সম্পর্কে সমস্যা তৈরি না হলে তো কেউ ডিভোর্সের পথে হাঁটে না। দু’জনের মতের, পছন্দের ভিন্নতার কারণেই হয়তো একসঙ্গে থাকা সম্ভব হয় না। একটু খেয়াল করুন তো, আপনাদের সম্পর্ক কি টক্সিক হয়ে গেছে নাকি এখনও ধরে রাখার মতো কোনো কারণ রয়েছে? দু’জনে কি মুখোমুখি বসে সমস্যাগুলো নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা করেছেন? যদি তা না হয়, তবে ডিভোর্সের আগে আরেকবার ভাবুন। দু’জনের ছোট ছোট ছাড় একটি সম্পর্ককে আবারও প্রাণবন্ত করে তুলতে পারে।

ডিভোর্সের পরের জীবন

হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিচ্ছেদ করে ফেলবেন না। ডিভোর্সের পরে কী হবে সেকথাও ভেবে দেখুন। আপনি একা কতটা সামলে নিতে পারবেন, জীবনে চলার পথে মুখ ‍থুবড়ে পড়বেন না তো? ডিভোর্সের কারণে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যেও যথেষ্ট প্রভাব পড়বে। সেসব সামলে নিতে পারবেন তো? সবদিক ভেবে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।

সন্তানের কথা ভাবুন

সন্তান না থাকলে ভিন্ন কথা তবে সন্তান থাকলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। আপনাদের বিচ্ছেদের কারণে আপনাদের সন্তানের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। তাই সন্তান থাকলে দু’জনকে আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। শুধু নিজেদের কথা না ভেবে সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের কথাও ভাবতে হবে। একটি ভেঙে যাওয়া পরিবারের সন্তান সাধারণত সুষ্ঠু পরিবেশ পেয়ে বড় হতে পারে না। তাই সন্তান থাকলে ডিভোর্সের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন।

তাকে কি আর ভালোবাসেন না?

সঙ্গীর প্রতি আপনার সত্যিই কি আর কোনো অনুভূতি নেই? একসঙ্গে থাকতে গিয়ে অনেক সময় একঘেয়েমি চলে আসতে পারে। আপনাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটছে না তো? ভালো করে ভেবে দেখুন। যদি সামান্য ভালোবাসাও বেঁচে থাকে, সেই অজুহাতে ফিরে আসুন। সম্পর্কটি টিকে থাকুক। আর যদি কোনো ভালোবাসা নাই থাকে তবে নতুন পথে হাঁটাই উত্তম।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

অনেক সময় আমরা জীবন নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তখন প্রয়োজন হয় এমন কারও পরামর্শের, যিনি অভিজ্ঞ এবং জ্ঞানী। সঠিক পরামর্শ দিয়ে আপনাকে পথ দেখাতে পারবেন, এমন কারও দ্বারস্থ হোন। আপনাদের সমস্যাগুলো খুলে বলুন। তিনি আপনাকে এক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় সমস্যাগুলোর সমাধান করে সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়।