বাতের ব্যথার কষ্ট কেবল ভুক্তভোগীই ভালো বলতে পারবেন। বাতের কারণে শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ব্যথা হয়, অনেক সময় ফুলেও যেতে পারে। অনেকে আবার মনে করেন, কেবল বয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এই সমস্যা হয়। আসলে তা ঠিক না। বাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে যেকোনো বয়সেই। বর্তমানে এই সমস্যা অনেক কম বয়সীর ক্ষেত্রেও দেখা দিচ্ছে। বাতের ব্যথা কমাতে কাজ করতে পারে এই ৫ খাবার-

রসুন

রসুনে রয়েছে প্রদাহনাশক গুণ। যে কারণে এই মসলা নিয়মিত খেলে দূর হয় বাতের ব্যথা। এছাড়া বাতের ব্যথা দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন রসুন। এক কোয়া রসুন কুচিয়ে অল্প গরম তেলে মিশিয়ে এই মিশ্রণ জয়েন্টে ম্যাসাজ করলে আরাম পাবেন। গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন ভাইরাস, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী। এটি পেনিসিলিনের মতো জীবাণুনাশক।

হলুদ

প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে হলুদের ব্যবহার বেশ পুরনো। এতে আছে কারকিউমিন নামক উপাদান, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মতোই কার্যকরী। অস্থিসন্ধির বা পেশির ব্যথা সারাতে কাজ করে হলুদ। মাথা ব্যথা, ফুলে যাওয়া ক্ষত ও ব্যথা উপশম করতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয় এই মসলা।

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর দুর্দান্ত উৎস হলো দুধ, দই ও পনির। এ ধরনের খাবারে থাকা ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তিশালী করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই বাতের ব্যথা থেকে বাঁচতে এগুলো খেতে পারেন।

মটরশুঁটি

মটরশুঁটিতে থাকে প্রচুর ফাইবার। তাই এটি বাতের ব্যথা কমাতে কাজ করে। এটি ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। নিয়মিত মটরশুঁটি খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে বাতের ব্যথা থেকে দূরে রাখবে।

পালং শাক

সুস্বাদু একটি শাক হলো পালং। এতে থাকে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এতে থাকা কেম্পফেরল নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বাতের ব্যথা কমাতে খুবই উপযোগী। তাই নিয়মিত পালং শাক খাওয়ার অভ্যাস করুন।